ভ্রমণের সময় মাঝ আকাশ থেকে নিখোঁজ হয়েছে নেপালের একটি বিমান। দেশটির তারা এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ১৯ যাত্রী ও ৩ ক্রুসহ মোট ২২ জন আরোহী ছিলেন। নেপালের অভ্যন্তরীণ রুটের এই ফ্লাইটটি পোখরা থেকে জমসমের দিকে যাচ্ছিল। -রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া
তবে ভ্রমণের সময় মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সংবাদমাধ্যম বলছে, রবিবার সকালে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারা এয়ারলাইন্সের এই বিমানটি ১৯ জন যাত্রী নিয়ে পোখরা থেকে জমসমের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটির ১৯ যাত্রীর মধ্যে ৪ জন ভারতীয় ও ২ জন জার্মান নাগরিক। অন্যরা নেপালি নাগরিক। এছাড়া বিমানটিতে ৩ জন ক্রুও ছিলেন। তারা এয়ারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পোখরা থেকে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে ভ্রমণের সময় ৯এন-এইটি বিমানটির সঙ্গে রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জমসমের জেলা প্রশাসক নেত্র প্রসাদ শর্মা বলেছেন, বিমানটিকে মুস্তাং জেলার জমসমের আকাশে দেখা গিয়েছিল এবং তারপরে মাউন্ট ধৌলাগিরির দিকে বিমানটি ঘুরে যায়। এরপরে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতের আবাসস্থল। আর তাই এই দেশটির অভ্যন্তরীণ বিমান নেটওয়ার্কে বিস্তৃত দুর্ঘটনার রেকর্ড রয়েছে। মূলত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং কঠিন পার্বত্য বিভিন্ন অবস্থানে বিমান চলাচল ব্যবস্থার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, কানাডিয়ান-নির্মিত টুইন অটার প্লেনের মাধ্যমে মূলত আকাশপথে সেবা দিয়ে থাকে তারা এয়ারলাইন্স। নেপালের পুলিশ কর্মকর্তা রমেশ থাপা বলছেন, নিখোঁজ টুইন অটার এই বিমানের কোনো তথ্য এখনও নেই এবং অনুসন্ধান চলছে। এদিকে নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুটি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। তল্লাশির জন্য নেপাল সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নেপালি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল বলেছেন, নেপালের সেনাবাহিনীর একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার লেটে, মুস্তাংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এই অঞ্চলেই তারা এয়ারের নিখোঁজ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বলছে, গত কয়েকদিন ধরে নেপালের ওই এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ এই আবহাওয়ার মধ্যেই ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মূলত উপত্যকায় অবতরণের আগে সেই রুটে চলাচলকারী প্লেনগুলো সাধারণত পাহাড়ের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে উড্ডয়ন করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন