‘ব্রেভহার্ট’ (১৯৯৫) চলচ্চিত্রটির জন্য খ্যাত মেল গিবসন পরিচালিত বাস্তব কাহিনী-ভিত্তিক ওয়ার ড্রামা ‘হ্যাকস রিজ’। ‘অ্যাপোক্যালিপ্টো’ (২০০৬), ‘দ্য প্যাশন অফ দ্য ক্রাইস্ট’ (২০০৪) এবং ‘দ্য ম্যান উইদাউট আ ফেইস’ (১৯৯৩) গিবসন পরিচালিত অন্যান্য চলচ্চিত্র।
যুদ্ধে বীরের মর্যাদা পায় একজন যোদ্ধা। কিন্তু এটি অন্যরকম এক মানুষের, অন্য এক যোদ্ধার গল্প যে একটিও গুলি ছোঁড়েনি। এমনকি সে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এই মানুষটির নাম ডেসমন্ড টি. ডস (অ্যান্ড্রু গারফিল্ড)। সেই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। তার দেশের অন্য তরুণরা আর তার বন্ধুদের অনেকে মার্কিন বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। সেও যুদ্ধে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সমস্যা হলো তার গভীর ধর্মবিশ্বাসের কারণে সে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। যুদ্ধক্ষেত্রে চিকিৎসা কর্মী হিসেবে যোগ দেয় সে। কিন্তু চিকিৎসাকর্মী হলেও তাকে আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতেই হবে। ভীষণ প্রতিক‚লতায় পড়লেও শেষে সে অস্ত্র ছাড়াই যুদ্ধের মাঠে যাওয়ার অনুমতি পায়। প্রাইভেট পদমর্যাদার ডসকে পাঠানো হয় দূরপ্রাচ্যে। ওকিনাওয়ার প্রচÐ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াই অংশগ্রহণ করে সে। একজন দুজন নয় ৭৫ জন আহত সহযোদ্ধাকে সে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেয়। শুধু ওকিনাওয়াতেই নয় গুয়াম আর ফিলিপাইনেও সে বীরত্বের স্বাক্ষর রাখে। তার বীরত্বের স্বীকৃতি দেন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান কংগ্রেশনাল মেডাল অফ অনার দিয়ে। কোনো কনশায়েনশাস অবজেক্টর এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই সামরিক সম্মাননা লাভ করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন