গত সপ্তাহে প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের কাছে আদালতে পরাজয়ই শুধু অ্যাম্বার হার্ডের লোকসান নয়, আরও লোকসান হতে যাচ্ছে তার। তার ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ডেপকে যতটা ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে ততটা না হলেও পেশাগতভাবে হার্ডকে বড় ধরনের প্রতিকূল অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। পুরো হলিউডে এখন হার্ডকে আর কেউ চাইছে না এমনই শোনা যাচ্ছে। এছাড়া তিনি হলিউডে যা অর্জন করেছিলেন তা ডিসির ‘অ্যাকুয়াম্যান’ (২০১৮) ফিল্মটি দিয়ে, যদিও সেটি প্রধানত জেসন মোমোয়ার ফিল্ম। ফিল্মটির সিকুয়েল ‘অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’ ছিল অভিনেত্রীর একমাত্র আশা। কিন্তু হার্ডের আইনি পরাজয়, সর্বোপরি তার ইমেজের যে ধরণীপাত হয়েছে তাতে স্টুডিও ঘাবড়ে গেছে। জানা গেছে তাকে ফিল্মটি থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে, আর সেই উদ্দেশে তার অংশের যতটা শুটিং হয়েছে সেসব দৃশ্য এখন কেটে বাদ দেয়া হচ্ছে। এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকের পর নির্মাতারা হার্ড রূপায়িত মিরা চরিত্রের দৃশ্যগুলো আপাতত কেটে বাদ দিচ্ছে। কেসি ওয়ালশ নামে এক ফিল্ম নির্বাহী তার টুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, সিকুয়েলের শুরুতে মিরা সন্তান প্রসবের সময় মারা যাবে। আরেক টুইটে চিত্রনাট্যকার গ্রেগ এলিস লিখেছেন, অ্যাম্বার হার্ড অভিনীত সব দৃশ্য ‘অ্যাকুয়াম্যান টু’ থেকে বাদ দেয়া হবে! ফিল্মটির শুট এবছরের শুরুতে শেষ হয়েছিল। ‘অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’ আগামী বছর মুক্তি পাবার কথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন