চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডুতে আগুনে পুড়ে সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম সোহেলের নিহতের ঘটনায় নেছারাবাদে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম । কবর খুড়ে লাশের অপেক্ষা রয়েছেন এলাকাবাসী। এজেআর কোরিয়ার কোম্পানীর গাড়ী চালক মো. সোহেল মিয়া সীতাকুন্ডুর কন্টেইনার ডিপোতে সংঘটিত অগ্নিকান্ডে নিহত হন শনিবার । নিহত সোহেল আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের সঙ্গীতকাঠি গ্রামের আবুল কালামের একমাত্র কর্মক্ষম পুত্র। তার বাবা, মা,স্ত্রী সহ নাবালক তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে রুকাইয়া নামের ৭মাস বয়সী একটি বাচ্ছা রয়েছে। চট্রগ্রাম থেকে সোহেলের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হচ্ছে খবর পেয়ে শত শত শোকাতুর মানুষ তাদের বাড়ি ভীড় করেন।
সোহেলের চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম জানান এজেআর কোরিয়ার কোম্পানীর গাড়ীর চালক হিসেবে সে কাজ করার কারনে কন্টেইনার ডিপো এলাকায় ওই সময় অবস্থান করছিলেন। কখন কীভাবে নিহত হয়েছে তা তারা বিস্তারিত জানতে পারেন নি। তাদের ক‘জন আত্মীয় চট্রগ্রাম থেকে সোহেলের লাশ নিয়ে রবিবার ভোর রাতে রওয়ানা দিয়েছেন। বাড়িতে লাশ পৌছানোর পরে সোমবার রাতেই দাফন সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
ওই গ্রামের ইউপি সদস্যা আছিয়া বেগম বলেন পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম সোহেলের বৃদ্ধ বাবা মা এবং বিধবা স্ত্রীর সাথে তিনটি নাবালক সন্তানের ভবিষ্যত এখন অন্ধকার হয়ে পড়েছে। তিনি ওই পরিবারটির জন্য সকলের সুদৃস্টি রাখার অনুরোধ করেন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন