অভিনেত্রী চাঁদনী মূলত নৃত্যশিল্পী। অভিনয়ের চেয়ে নাচকেই বেশি প্রাধান্য দেন। নাচ নিয়েই তার ব্যস্ত সময় কাটে। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন। চাঁদনী বলেন, আমার ভালোবাসার জায়গা নাচ। এতেই বেশি সময় দিচ্ছি। কর্পোরেট শো থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করছি। তবে মাঝে মাঝে অভিনয়ও করি। সম্প্রতি বাংলাদেশ বেতারে তিনটি নাটকে অভিনয় করেছি। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি এ কারণে যে, নাটকগুলোতে আফজাল ভাই, দিলারা জামান, চুমকি, শিমুল ভাই, জলি আপার মতো গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, তবে চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় কম করা হয়। আমার স্বপ্ন চলচ্চিত্রে কাজ করা। তাই অপেক্ষায় আছি। নাচের ক্ষেত্রে শ্যামা, নকশী কাঁথার মাঠ, মহুয়া নৃত্যনাট্যে নিজেকে দেখতে চাই। সাপ নিয়ে নৃত্যনাট্য ‘মহুয়া’ করার স্বপ্ন দেখি। বিয়ে-সংসার নিয়ে চাঁদনী বলেন, বিয়ে-শাদী নিয়ে অনেক মানসিক টানাপড়েনে ছিলাম। এটাকে আমি ভাগ্য বলব। সংসার করার শতভাগ চেষ্টা ছিল। তারপরও ঘর করা হয়নি। সংসারে মনোযোগী হতে চেষ্টার ত্রুটি করিনি। এজন্য ক্যারিয়ারের অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। চাঁদনী বলেন, ক্যারিয়ারের এ পর্যন্ত নিজের সম্পদ বলতে কিছুই করিনি। ঢাকায় আজও নিজের মাথা গোঁজার ছাদটুকু নেই। গাড়ি নেই, ব্যাংক ব্যালান্স নেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের শিল্পী কোটায় কি এক টুকরো জমি আমি পেতে পারি না? অনেক আগেই তো বাবাকে হারিয়েছি। মাকে নিয়ে আমার জীবনযুদ্ধ করছি। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানও করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠান শেষে আমার নাচেরও প্রশংসা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন