লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার শতবছরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। (আজ শনিবার সকালে) মাদরাসা কাম্পাসে মধ্যে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা মাদরাসার বর্তমান কমিটিকে অযোগ্য ও বিতর্কিত উল্লেখ করে এই কমিটি সম্পুর্ন বাতিল করে কওমী মাদ্রাসার নীতিমালা অনুযায়ী মসলিসে শুরা গঠন করে পরিচালনার দাবী জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা মাদরাসা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা মাওলানা আকতার হোসেনকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে ও মাদরাসার সকল কাজে ইউএনওর হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবী জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন,এক পরিবার থেকে ৫ জনকে সদস্য করায় তারা নিজদের পৈত্তিক সম্পত্তি মনে করে মাদরাসার সকল কাজে অনিয়ন্ত্রিত হস্তক্ষেপ করেন। এতে লেখাপড়া ও উন্নয়ন কাজে তারা বিঘ্ন ঘটায়। এই বিতর্কিত কমিটির সদস্য সোলাইমান, রিয়াজ ও ইলিয়াস প্রশাসনকে ভূল বুঝিয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থী সহ সকল উন্নয়ন কাজে হস্তক্ষেপ করান।
মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন,কলাকোপা মাদরাসাটি কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা করার কথা থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানে তা মানা হচ্ছেনা। বেফাক বোর্ডের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে বিতর্কিত কয়েকজন লোক দিয়ে একটি মনগড়া কমিটি করে পরিচালনা করা হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অযাচিত হস্তক্ষেপ মাদরাসা পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছেৃ বলে উল্লেখ করা হয়। তারা বলেন, অবিলম্বে বিতর্কিত এই কমিটি সম্পুর্ন বাতিল করে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী মজলিসে শুরা গঠন করে মাদরাসা পরিচালনার দাবী জানান তারা।
তাদের এই দাবী মানা না হলে তারা রাস্তা অবরোধ ও ক্লাস বর্জন সহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারী দেন শিক্ষার্থীরা।এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন,মোঃ ইসমাইল,সাইফুদ্দিন, আবরারুল হক,আইয়ুব আলী ও ফিরোজ আলম প্রমুখ।
এবিষয়ে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ আলী বলেন,ছাত্রদের আন্দোলন সম্পুর্ন অযোক্তিক। আগামী ১৮ জুন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির বেঠক হবে,তখন তাদের দাবীদাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তনু চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন