কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। শনিবার বিকেলে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরীর কাছে তিনি নতুন আরও দুটি লিখিত অভিযোগ করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নিজেই।
অভিযোগে সাক্কু উল্লেখ করেন, নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করে সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এবং সংলগ্ন বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ও সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত বিভিন্ন মসজিদের ইমামদেরকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার নির্দেশ দিয়েছেন এমপি বাহার সাহেব। উক্ত নির্দেশের কারণে উল্লেখিত শিক্ষকগণ ও ইমামগণ প্রচারণা কাজে নিয়োজিত আছেন। যা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
একই সময় আরেক অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে সিটি কর্পোরেশনের আওতাবহির্ভূত এলাকার জন প্রতিনিধি, দলীয় কর্মী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জনসমাগম, মিছিল ও শো-ডাউন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও নির্বাচনের দিন বহিরাগতদের দ্বারা জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন বলেও আশঙ্কা করা যাচ্ছে, যা আচরণ বিধির লঙ্ঘন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর দুটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয় গুলো তদন্ত করে দেখবো।উল্লেখ্য, সাক্কুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে এখনও তিনি নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন