২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর আবারও দরপতনের বৃত্তে আটকা পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। ফলে প্রথম কর্মদিবসের মতো সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসেও উভয় পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ বেশি থাকায় গতকাল সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩৯ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১০১ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দামও।
এর ফলে গত বুধবার সূচক বৃদ্ধির পর বাজেট ঘোষণার দিন গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। ডিএসইর তথ্য মতে, উভয় বাজারেই লেনদেনের প্রথম পৌঁনে ২ ঘণ্টায় সূচক ওঠানামা করে। কিন্তু তারপর থেকে লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সূচকও।
দিন শেষে ডিএসইতে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৯ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৪০টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৫৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির দাম।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৮ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট।
ডিএসইতে ৭৯৮ কোটি ১৯ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর একদিন আগে লেনদেন হয়েছিল ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইপিডিসির শেয়ার। এরপর যথাক্রমে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিক, এসিআই ফরমুলেশন, ডেল্টা লাইফ, জেএমআই হাসপাতাল, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিডিকম, সালভো কেমিক্যাল, কাশেন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং নাহী অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৮৯ পয়েন্টে। বাজারটিতে ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯১ টাকা। এর আগে দিন লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৪ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন