শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লক্ষ্মীপুরে অনিয়ম ও দূনীতির বিচার দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২২, ৬:৩৪ পিএম

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়ার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূনীতির অভিযোগের বিচার ও কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয় মাঠে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসুচি পালন করা হয়। পরে শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের কাছে বিদ্যালয় পরিবর্তনের আবেদন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েকশ নারী-পুরুষ অভিভাবকও কর্মসুচিতে অংশ নেয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম,নজরুল ইসলাম, আবদুল রহিম,রেনু বেগম,আয়েশা আক্তার,মরিয়ম বেগম ও ফাতেমা বেগম। এসময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিলে অভিভাবকরা শান্ত হন।

অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ১০ বছর ধরে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের দাবী করে আসছিলেল অভিভাবকরা। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। যাহা সর্ম্পূন অন্যায়। এ কমিটি বছরের পর বছর নানা অনিয়ম করে আসলেও প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি। স্কুল কৃর্তৃপক্ষের বিভিন্ন অনিয়মনের কারনে ঐতিহ্যবাহি বিদ্যালয়টি পড়ালেখার মানও দিনদিন খারাপ হচ্ছে। এই রাতের আধাঁরের কমিটি বাতিল করে বিদ্যালয়ের পড়ালেখা সুষ্ঠ মান বজায় রাখার দাবী করেন তিনি।

অপর অভিভাবক সদস্য ফাতেমা বেগম বলেন, বিদ্যলয়ের পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের অনিয়ম ও দূনীতির কারনে পড়ালেখার মান উন্নয়ন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে নেয়ার জন্য আবেদন করেন। এটি অব্যাহত থাকবে। দ্রুত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বাতিল ও অনিয়ম দূনীতির বিচারেরর দাবীও জানান।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি পড়ালেখার উন্নয়ন না করে নিজেরা কিভাবে কমিটিেেত থাকবে সে চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন, আর উন্নয়নের নামে লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ করেন। এসব অবৈধ কমিটি বাতিল করে এবং দূনীর্তির সাথে জড়িতদে কর্তা ব্যাক্তিদের বিচার না করলে বিদ্যালয়ে সন্তান দিবেনা। অন্যত্র নিয়ে যায়। অন্যাথায় আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।

প্রধান শিক্ষক ননী গোপল দেবনাথ বলেন, অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অভিভাবরা শান্ত হন। তবে কোন অনিয়মের সাথে তিনি জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি অসুস্থ্য রয়েছেন। তবে কমিটি নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, কি কারনে অভিভাবকরা এই ধরনের কর্মসুচি পালন করছে। সেটা তার জানা নেই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিটি অনুমোদন হয়েছে। বিদ্যালয়ে কোন অনিয়ম হয়নি। তবে তোপের মুখে পড়লে সেটা অস্বীকার করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন