শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

খাগড়াছড়িতে ভারি বর্ষণ পাহাড় ধসের শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২২, ৬:২৩ পিএম

ভয়াবহ পাহাড়ি বন্যার অভিজ্ঞতা পেয়েছে খাগড়াছড়িবাসী। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে আবারও মুষলধারে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। পুনরায় পাহাড়ি বন্যা ও পাহাড় ধসের আতঙ্কে রয়েছে
খাগড়াছড়িবাসী।খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা মাথায় রেখে শালবন এলাকায় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
মৌসুমের প্রথম ভারি বর্ষণে বিপর্যস্ত খাগড়াছড়ির জনজীবন।শনিবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, মানিকছড়িসহ বেশ কিছু উপজেলায় বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দীঘিনালা উপজেলার সওজ অফিসের সামনের সড়কে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে সাজেক সড়কে যাতায়াতকারী পর্যটক ও স্থানীয়দের ভোগান্তি হচ্ছে। এ ছাড়া মেরুং ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। মেরুংয়ের মাইনী নদী তীরবর্তী ও আশপাশের অর্ধশতাধিক পরিবার ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার শালবন, কুমিল্লাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরের পর থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে.খাগড়াছড়িতে খুব বেশি পর্যটকের দেখা মেলেনি।
খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুবপ্রধান সাহাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড়ধসসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের সব ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা মাথায় রেখে শালবন এলাকায় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
ভৌগোলিক অবস্থান, কুপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য ও ঘনবসতি এবং অপরিকল্পিত পাকা বহুতল ভবন নির্মানের কারনে সদর উপজেলার শালবন, কুমিল্লাটিলা, ন্যান্সিবাজার এলাকা অন্যতম দুর্যোগ পুর্নস্থান হিসেবে পরিচিত প্রশাসনের নজরে। প্রতি বছর ভারী বৃষ্টি ও দুর্যোগের সময় এসব এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় অন্যত্র, আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঐসকল লোকজন পুনরায় ঝুকিপুর্ণ বসত যার যার নিজস্ব বাড়িতে ফিরে আসে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন