শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

মরার পর আমাদের পাশে মানুষের দোয়া ছাড়া আর কিছুই থাকবে না-অনন্ত জলিল

সিলেটে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, প্রযোজক, পরিচালক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি অনন্ত জলিল বরাবরই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। অসহায় মানুষের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর নজিরও স্থাপন করেছেন। সমাজের বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে তিনি নীরবেই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। কয়েক বছর আগে রংপুর বিভাগে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিলে সেখানের অসহায় বন্যার্তদের পাশে ছুটে গিয়েছিলেন। নিজের সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা ডুবে গেছে। মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অনন্ত জলিল। গত শনিবার এক ভিডিওবার্তায় বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সিলেটের বন্যার ভয়াবহতার কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আসন্ন ঈদে ১০-১২টা গরু কোরবানি না দিয়ে একটি বা দুইটি গরু কোরবানি দেবো। বাকি গরুর দাম এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক অর্থ দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো। শুধু কোরবানির টাকাই নয়, আমার ব্যবসার টাকা এবং আমি যে মুভি (দিন: দ্য ডে) মুক্তি দিচ্ছি, সেটা থেকেও টাকা আসবে। এসবকিছু দিয়েই সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, যখন যেখানে দুর্যোগ হয় আমি পাশে দাঁড়াই। আমাদের যাদের অর্থ-কড়ি আছে, আমরা কেউ টাকা কবরে নিয়ে যেতে পারব না। আমরা যেটা আয় করি, সেটা মানুষের কাজে খরচ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ, আপনি-আমি একদিন পৃথিবীতে থাকব না। তিনি বলেন, আমরা নিজেরা ভোগ না করে, যদি মানুষের কল্যাণে টাকা খরচ করতে পারি, তাহলে আল্লাহ আমাদের এই দান কবুল করবেন। মরার পর আমাদের পাশে মানুষের দোয়া ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। তিনি সকলকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে যতটুকু পারেন তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান। সবাই মিলে একটু একটু করলেও তাদের অনেক সহায়তা হবে। উল্লেখ্য, অনন্ত জলিল ব্যক্তিগতভাবে মসজিদ, মাদরাসা ও বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলেছেন। তিনি বরাবরই বলেন, আল্লাহতাআলা যাদের ধন-সম্পদ দিয়েছেন, তা পরীক্ষা স্বরূপ। এই ধন-সম্পদ আমরা কোথায়, কিভাবে ব্যয় করেছি, তার হিসাব দিতে হবে। এটাও মনে রাখতে হবে, আল্লাহ যাদের ধনী বানিয়েছেন, তারা বিশেষ কিছু। তাদের মাধ্যমেই তিনি অন্যদের সহায়তার পথ দেখিয়েছেন। কাজেই এ বিষয়টি আমাদের সকলের উপলব্ধি করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন