মিয়ানমারে সেনা সদস্যদের অর্থে বিশাল বাণিজ্য সাম্রাজ্য দেশটির সামরিক বাহিনী। নতুন নতুন ব্যবসা ও একের পর এক বাণিজ্যিক পরিকল্পনার মূলধন গোছাতে বড় অঙ্কের চাঁদার হার চাপিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ সেনা ও কর্মকর্তাদের ওপর। মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড (এমইএইচএল) এবং অং মিন্ট মোহ মিন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এসব বিনিয়োগের প্রধান সূত্র। সেনাবাহিনীর সামান্য বেতনের সিংহভাগই দান করতে হচ্ছে বিনিয়োগের নামে। আরও বিস্ময়কর হলো, এই বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পেতে চাইলেও দিতে হয় ঘুষ। দেশটির সেনা সদস্যদের মাসিক বেতন ১৪৪,০০০ কিয়াত (প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা)। প্রতি বছর সর্বমোট ১৫ লাখ কিয়াট (প্রায় ৭৫ হাজার টাকা) বিনিয়োগ করা অনেকটা বাধ্যতামূলক। কারণ, সেনা পরিচালিত ব্যবসায় বিনিয়োগ না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমইএইচএল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য। ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা লাভ’ মূল মন্ত্র হলেও সেই সেবা জোটে উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তার। প্রতি বছর মোট ১৫ লাখ কিয়াট বিনিয়োগ করতে হয় সামরিক সেনাদের। পরিবর্তে যৎসামান্য কিছু অর্থ ফের পান তারা। ১৫ লাখ কিয়াত ফেরত পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে ৫ লাখ কিয়াত। অপরদিকে, অং মিন্ট মোহ মিন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পুরো সেনাবাহিনীকেই ভাবে খদ্দের। ক্যাপটেন থাকাকালীন জিন ইয়াত্তের মাসিক বেতন ছিল ৩৬০,০০০ কিয়াত এখান থেকে ২৫,০০০ কিয়াত দিতে হতো বিনিয়োগ হিসাবে। এভাবে পাঁচ বছর লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বিনিয়োগ করার পর মৃত্যুবরণ করলে সুদসহ অর্থ ফেরত পাবেন তারা। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন