শেরপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির একদিকে উন্নতি হচ্ছে আর অন্যদিকে অবনতি হচ্ছে। গতকাল (২৪ জুন) নালিতাবাড়ী ভোগাই নদীতে বন্যার পানিতে নিখোঁজের ১৫ দিন পর ওই নদীর ফুলপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করে। এনিয় এবারের বন্যার পানিতে ৫ জনের মৃত্যু হলো।
ইতিমধ্যে জেলার ৪টি পাহাড়ি নদী মহারশি, চেল্লাখালি, সোমেশ্বরী ও ভোগাইয়ের পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলায় এখনও পানি বন্দি আছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। এসব এলাকার রাস্তা ঘাট পানির নীচে রয়েছে। বাড়ি ঘরে পানি থাকায় খাবারের সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। চরম দুর্ভোগে দিন চলছে এসব এলাকায়। এখনো বেশির ভাগ জায়গায় ত্রাণ পৌছে নাই। এতে ক্ষুব্ধ দূর্গতরা।
অপরদিকে ব্রক্ষপুত্র, দশানী ও মৃগি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে। পানি ঢুকতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চল সমুহে।
শেরপুর সদরের কামারেরচর ও চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
দ্বিতীয় দফার বন্যায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৭৫ মে. টন চাল, ৫ লক্ষ নগদ টাকা ও ১৮শ প্যাকেট শুকনো খাবার প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন