মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পদ্মায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস জেগেছে: ড. মশিউর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২২, ৬:০৫ পিএম | আপডেট : ৬:২৮ পিএম, ২৫ জুন, ২০২২

জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘আজ প্রমত্মা পদ্মায় বাংলাদেশের আত্মবিশ^াস জেগেছে। দক্ষতা জেগেছে, সৃজনশীলতা এবং চ্যালেঞ্জ জেগেছে। আর যার হাত ধরে এই আত্মবিশ^াস জেগেছে তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। অনেকে অনেক কিছু দিয়ে পদ্মাকে ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, পদ্মায় সেতু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শোককে শক্তিতে পরিণত করার একেকটি বড় বড় স্তম্ভ।’ শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভিসি।

দেশের অগ্রযাত্রায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অবদান তুলে ধরে ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন সংকটকালে আলোর দিশারী হয়ে এসেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পথ কি কখনো পুষ্পে ভরা ছিল? তিনি যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বেলজিয়ামে ছিলেন। প্রিয় বোনকে নিয়ে স্বামীর গবেষণা কেন্দ্র থেকে মাত্র একদিনের জন্য বেড়াতে এসেছিলেন বেলজিয়ামে। ছুটির দিন কাটালেন। বোন এবং স্বামীকে নিয়ে কাটানো সেই দিনের প্রত্যুষে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম সংবাদ শুনতে হলো- পিতা, মাতা, ভাই, বোন, ভাইয়ের স্ত্রীসহ সকলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। তারপর থেকে তাঁর প্রতিটি দিন চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে গেছে। এরপর বাংলাদেশে ফিরতে ৬টি বছর সময় লেগেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধর কন্যা দেশে ফিরলেন। ফিরে এসে রক্তাক্ত ৩২ নম্বরে পিতাকে যেখানে হত্যা করা হলো সেই জায়গাতে মোনাজাত করার অধিকার তৎকালীন সেনা সরকার তাঁকে দেয়নি। ৩২ নম্বরে রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে সেদিন শ্রষ্ট্রার কাছে আকুতি করেছিলেন।’

ভিসি প্রফেসর মশিউর রহমান বলেন, ‘তাঁর (শেখ হাসিনা) পথ চলায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রতিটি দিন ছিল চ্যালেঞ্জের। ৯০ এর আন্দোলন এক হাতে গড়ে তুললেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভাত এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র নেতৃত্ব শেখ হাসিনার। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় বসতে পারলেন না। সেটি কী তাঁর চ্যালেঞ্জের দিন ছিল না? অতপর আবার তিনি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় নামলেন। গণতন্ত্র নিশ্চিত করলেন, সামরিক শাসনের অবসান করলেন। তারপরও কী গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন? আবার ছোবল হেনেছে। কারা নির্যাতিত হয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুজিব ভক্ত, শেখ হাসিনা ভক্ত মানুষ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আন্দোলন করেছিলেন প্রিয় নেত্রীর মুক্তির জন্য। কবি নির্মলেন্দু গুন কবিতা লিখেছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যার মুক্তি। সেই সব পথ কী সুন্দর ছিল, সবই চ্যালেঞ্জের ছিল।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, ‘অতপর শোককে শক্তিতে পরিণত করার অতন্ত্র প্রহরীর মতো বাংলাদেশকে সাজানো গোছানোর সংকল্প নিয়ে তিনি যে পথ হেঁটেছেন তার প্রতিটি দিন চ্যালেঞ্জের। ঠিক তেমনি পদ্মাসেতু নির্মাণও একই চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে গেছে। তিনি যখনই এদেশের জন্য ইতিবাচক কাজ করতে চেয়েছেন, হায়নার দল তখনই বাধা দিয়েছে। আর তিনি বাধা লঙ্ঘন করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন। এটিই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। একারণেই পদ্মা সেতুর ইট, বালু, কংক্রিট, পাথর হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শোককে শক্তিতে পরিণত করার কঠিন ভীত। এই ভীত আর কোনোদিন কেউ ভাঙতে পারবে না। আমি বিশ^াস করি শতবর্ষের বাংলাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্য অথবা ইউরোপের ধনাঢ্য কোনো দেশ নয়। বাংলাদেশ হবে মানবিক রাষ্ট্রের সেই দৃষ্টান্ত যাকে অন্য উন্নত দেশ অনুসরণ করবে।’

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটোয়ারি, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম পাটোয়ারি দুলাল, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. এম এ ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌর সভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন