রাজধানীর গুলশান থানায় মানব পাচারের অভিযোগের মামলায় কণ্ঠশিল্পী ইভা আরমানকে আগাম ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেয়। একই সঙ্গে জামিনে থাকা সময়ের মধ্যে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিন আদালতে ইভা আরমানের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন ও অর্পন চক্রবর্তী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
আইনজীবী এ বি এম আলতাফ বলেন, আবেদনের শুনানির পর আদালত ইভা আরমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন। এই ছয় সপ্তাহের মধ্যেই তাকে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইভা আরমানসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে পরস্পর যোগসাজশে পতিতালয় স্থাপন, পরিচালনা ও পতিতাবৃত্তিতে আহ্বান জানানোর অভিযোগ এনে গত ২৫ জুন পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাসান গুলশান থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এ মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় জামালপুরের মেলান্দহ থানার করানিয়ার পাড়া গ্রামের রফিকুল হায়দার মোহাম্মদ সিরাজউদ্দৌলাকে। মামলায় ইভা ১০ নম্বর আসামি। এজাহারে গুলশান-২ এর ‘এরোমা থাই স্পা’কে ঘটনাস্থল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেটির বাড়ির মালিক ইভা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, অসীম কুমার পাল (৪৪), ইয়াসমিন আক্তার নিঝুম (১৮), শ্রাবণী আক্তার মুক্তা (২৪), রুনা মুড়ং (২৭), রোকেয়া আক্তার মুন (২৭), লামিয়া আক্তার (২৪), হাসিনা মমতাজ (৫৬) ও স্বরজিৎ (৪০)। এদের মধ্যে ‘এরোমা থাই এ্যান্ড স্পা’ এর মালিক হাসিনা মমতাজ ও ম্যানেজার স্বরজিৎ পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলায় সংবাদ পাঠক হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করা ইভা একপর্যায়ে প্রেমে জড়িয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে। সেই সম্পর্ককে পূর্ণতা দিয়ে ২০০৩ সালে তারা বিয়ে করেন। এরপর তিনি গায়িকা হিসেবেও পরিচিতি পান। প্রায় এক দশক আলোচনায় থাকা এ দম্পতির বিচ্ছেদ হয় গত বছর। এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমানকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন সংসার পাতেন ইভা। ব্যবসায়ী সোহেল আরমানকে বিয়ে করে নাম বদলে ইভা আরমান রাখেন।
কণ্ঠশিল্পী ইভার ইতোমধ্যে ৩০টির বেশি গানের অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। সে মাত্রায় জনপ্রিয়তা না পেলেও গত দশকে তার নিয়মিত উপস্থিতি ছিল এটিএন বাংলার পর্দায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন