গত ২৪ জুন আলোচিত সঙ্গীতশিল্পী এবং একটি চ্যানেলের মালিকের সাবেক স্ত্রী ইভা রহমানের (বর্তমান নাম শেখ উর্মি রহমান) গুলশান-২ এর ৪৪ নং সড়কের ইভা রোজ ভবনের ৫ম তলায় অবস্থিত ‘অ্যারোমা থাই অ্যান্ড স্পা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দেহব্যবসা পরিচালনা, যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কাজের অভিযোগে ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ এর ১২/১৩ ধারায় মামলা করা হয়। মামলায় ইভা রহমানকেও আসামী করা হয়। তিনি ১০ নম্বর আসামী। গত মঙ্গলবার ছিল মামলার জামিন শুনানি। জামিন নিতে আদালতে হাজির হন ইভা রহমান। তাকে আদালত ৬ সপ্তাহের জামিন দেন। হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে তাকে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে (ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে) আত্মসমর্পণ করতে হবে। এ সময় আদালত ইভাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি একজন শিল্পী, আপনার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ কেন? আপনারা (শিল্পীরা) হলেন সমাজের দর্পণ, আপনাদের দেখে মানুষ শিখবে। এদিকে মামলার অভিযোগে বলা হয়, গুলশানের ইভা রোজ ভবনের ৫ম তলায় (বাসা নং-৬/বি) অ্যারোমা থাই অ্যান্ড ¯পা নামের প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের যুবতী ও নারীদের একত্রিত করে অবৈধ দেহব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কার্য পরিচালনা করে আসছিল। আসামিরা পর¯পর যোগসাজশে বিভিন্ন কাজের সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ¯পা সেন্টারে রেখে খদ্দের সংগ্রহ করে অর্থের বিনিময়ে পতিতাবৃত্তি ও অসামাজিক কাজে তরুণীদের বাধ্য করতো। তারা সংঘবদ্ধভাবে ¯পার আড়ালে পতিতালয় স্থাপন, পরিচালনা ও পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ এর ১২/১৩ ধারায় অপরাধ করেছেন। উল্লেখ্য, আসামীদের মধ্যে অ্যারোমা থাই অ্যান্ড ¯পার মালিক হাসিনা মমতাজ ও ম্যানেজার স্বরজিৎ পলাতক। বাড়ির মালিক হিসেবে ইভা আরমান এই মামলার আসামি হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন