মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবারও কৃষ্ণাঙ্গের উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছে। পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। আর হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঘাতক পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী। দাদের কথা, এই ঘটনা আরও একবার জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার স্মৃতি উস্কে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের ছোট শহর অ্যাক্রনের বাসিন্দা জেল্যান্ড ওয়াকার (২৫) পেশায় ডেলিভারি বয়। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, গত সোমবার ঘটে ঘটনাটি। পুলিশের অত্যাচারে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গত শনিবার উত্তাল হয় ওহাইয়ো। পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবিতে নিহত যুবকের পরিবার। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হওয়ায় তা বহির্বিশ্বের সামনে জানাজানি হয়। জেল্যান্ড ও জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য একটাই। পুলিশের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড। জেল্যান্ডকে গুলি করে মারা হয়। পুলিশের দাবি, রাতে ট্রাফিক আইন ভেঙে দ্রুতগতিতে ছুটছিল একটি গাড়ি। তার পিছু নেয় পুলিশ। চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলে তারা। কিন্তু গাড়ি থেকে নামেননি তিনি। বরং গাড়ির ভিতর থেকে গুলি ছোঁড়ে জেল্যান্ড। পরে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। সেই সময় গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, গাড়ি থেকে নেমে পালানোর সময় জেল্যান্ড আবার গুলি চালাতে পারেন বলে তারা আশঙ্কা করেছিল। এরপরই প্রায় ৯০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। জেল্যান্ডের আইনজীবীর দাবি, এর মধ্যে অন্তত ৬০টি গুলি তার শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু পুলিশকে লক্ষ্য করে জেল্যান্ড কি গুলি চালিয়েছিলেন? তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। এমনকী, তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কিনা তাও পরিষ্কার নয়। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিহত যুবকের পরিবারের দাবি, কোনও কারণ ছাড়াই গুলি চালানো হয়েছে। কোনও কারণ ছাড়াই হত্যা করা হয়েছে জেল্যান্ডকে। এ প্রসঙ্গে যুবকের পরিবারের আইনজীবী ববি ডি সেলো দাবির, পুলিশ প্রায় ৯০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। যার মধ্যে অন্তত ৬০টি জেল্যান্ডের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয়। গুলিতে যুবকের মুখ ঝাঁজরা হয়ে গেছে। সূত্র : রয়টার্স, এনবিসি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন