মার্কিন সংগীতশিল্পী ও ডান্সার মাইকেল জ্যাকসন। বলতে গেলে, একটা সময় পপ সাম্রাজ্য তার একার কাঁধে ছিল। এখন অবধি যাকে পপ সংগীতের সম্রাট বলেই ভক্তরা সম্মানিত করে আসছেন। ২০১০ সালে মৃত্যুবরণ করা পপ কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনের বেশ কিছু গান নিয়ে একটি মরণোত্তর সংকলন তৈরি হয়েছিল। সেই অ্যালবামের নাম ছিল 'মাইকেল'। কিন্তু সেই সংকলনের তিনটি গানকে কেন্দ্র করে আগেই উঠেছিল গুরুতর অভিযোগ।
২০১৪ সালে ভেরা সেরোভা নামের এক জ্যাকসন অনুরাগী ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম এই গানগুলো নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে দাবি করা হয়েছিল যে 'ব্রেকিং নিউজ,' 'মনস্টার' ও 'কিপ ইওর হেড আপ' শিরোনামের এই তিনটি গানে আদৌ কণ্ঠ দেননি মাইকেল জ্যাকসন! সম্প্রতি এই তিনটি গানের স্ট্রিমিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যাকসন এস্টেস্ট এবং সনি মিউজিক ৷
গত ৫ জুলাই জ্যাকসন এস্টেস্ট ও সনি মিউজিকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে , 'দ্য এস্টেট অব মাইকেল জ্যাকসন এবং সনি মিউজিক ২০১০ সালের অ্যালবাম মাইকেল থেকে 'ব্রেকিং নিউজ,' 'মনস্টার' ও 'কিপ ইওর হেড আপ' ট্র্যাকগুলো সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷
এই ট্র্যাকগুলো নিয়ে যে শোরগোল তৈরি হয়েছে, তা এড়াতে এটাই হয়তো সবচেয়ে ভালো উপায়। তবে গানগুলোর স্ট্রিমিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বিবৃতিতে কোনোভাবেই উল্লেখ করা হয়নি যে বিতর্কিত গানগুলো মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া নয় ৷
বরং তারা জোর দিয়েই বলেছে, 'এই গানগুলো যে অথেন্টিক নয়, সে সম্পর্কে এখানে কিছু বলা হচ্ছে না ৷ শুধু গানগুলোকে ঘিরে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তা এড়ানোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত। ২০১৪ সালে ভেরা সেরোভা নামের এক জ্যাকসন অনুরাগী ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম এই গানগুলো নিয়ে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৫ জুন, হঠাৎ করেই সুদূর আমেরিকা থেকে খবর এলো মাইকেল জ্যাকসন আর নেই। মৃত্যুর ১৩ বছর পার হয়েও জ্যাকসনের সাম্রাজ্যের অবসান যেন সম্ভব নয়। ভক্তদের বিশ্বাস এখনো বেঁচে আছেন মাইকেল জ্যাকসন। অনন্য এই তারকা আজও ভক্তদের হৃদয়ে তার জায়গা করে রেখেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন