শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

লোডশেডিং জায়েজে প্রতারণামূলক কথা বলছেন মন্ত্রীরা

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় এরা জন্মগতভাবেই মিথ্যাবাদী একটি রাজনৈতিক দল। ভয়াবহ লোডশেডিংকে জায়েজ করার জন্য আওয়ামী মন্ত্রীরা হরেক রকমের প্রতারণামূলক কথাবার্তা বলছেন বলে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ সাহেব বলেছেন, অস্ট্রেলিয়াতে নাকি ১০ ঘণ্টা বা কোথাও কোথাও ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। তিনি এই উদ্ভট খবরটি পেলেন কি করে? এই অবৈধ আওয়ামী সরকার বাংলাদেশকে ‘আবোল-তাবোলের’ দেশ বানাতে চাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। মিথ্যাচার, অপবাদ, কুরুচিপূর্ণ কথার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা হলে সেখানে আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন হবে। একটি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ অস্ট্রেলিয়ায় বিদ্যুৎ কত ঘণ্টা থাকে না থাকে এটা বিশ্ববাসী জানে। আওয়ামী মন্ত্রীরা এ ধরণের টাটকা মিথ্যা কথা বলেন শুধুমাত্র বাংলাদেশের জনগণকে প্রতারণা করার জন্য।
তিনি বলেন, সরকার পদ্মাসেতু, ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল নিয়ে তথাকথিত ভুয়া উন্নয়নের কল্পরাজ্য তৈরি করতে নানা নাটক দৃশ্যমান করে যাচ্ছে। প্রখ্যাত কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার শর্মিষ্ঠা নাটকে বলেছেন ‘অলীক কুনাট্য রঙ্গে/মজে লোক রাঢ়ে বঙ্গে’ রাঢ়বঙ্গে কি হয় তা জানি না, তবে এই বঙ্গে তথা বাংলাদেশে আওয়ামী অলীক কুনাট্যের রমরমা মঞ্চায়ন সর্বত্র প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবস্থা বিদ্যমান শ্রীলঙ্কাতেও প্রথমে শুরু হয়েছিল বিদ্যুৎ সংকট, তারপর সেখানে কি ঘটেছে দেশবাসী তা জানেন। বাংলাদেশেও উন্নয়নের নামে হরিলুট করে দেশ থেকে লাখ-লাখ কোটি টাকা পাচার করে দেশকে ফোঁকলা করে দেওয়া হয়েছে। নজির বিহীনভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে পাল্লা দিয়ে। বিদ্যুতের জন্য যে জ্বালানির প্রয়োজন সেটি একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় একটি পরিবার ক্ষমতায় থেকে কিভাবে উন্নয়নের নামে দেশটিকে বিপজ্জনক খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছিল, এখন তাদেরকে প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। বাংলাদেশেও বেশ কয়েকবছর ধরে কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে যা মূলত একটি পরিবারের আধিপত্যই প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারেনি। বাংলাদেশেও সবকিছু লুটপাট করে দেশের সব টাকা সুইচ ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংকে পাচার করার পর সরকার প্রধান এখন জনগণকে সঞ্চয়ী হওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। এসব করে প্রতিনিয়ত তারা লোক হাসানোর পাত্র হচ্ছেন।
##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন