ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের আজ দশম মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী পৃথক পৃথক শোক বাণী দিয়েছেন। তার একমাত্র পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এসময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া ঢাকা ১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের ট্রাক মঞ্চে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রক্ষা করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে রক্ষা পেলেও স্পিøন্টারের আঘাতে মারাত্মক ভাবে আহত হন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন