শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

তানিয়া-টুটুলের সংসার ভাঙা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২২, ৪:০১ পিএম

শোবিজ জগতে ‘হ্যাপি কাপল’ নামে পরিচিত ছিলেন এস আই টুটুল ও তানিয়া আহমেদ। দুই দশকের বেশি সময় ধরে সংসার করেছেন। ভক্তদের কাছেও তাদের গ্রহণযোগ্যতা দারুণ। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের লম্বা পথচলায় তাদের ছেদ টানা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

ফেসবুকে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, কি করে আলাদা হয়ে যায় দুটি মন? কোথাও কি দ্বিধার তৈরি হয় না? কোথাও কি টান পড়ে না একসঙ্গে থেকে যাওয়ার? এ জীবন তো অনন্তকালের নয়। তবু কেন দুইদিকে বসবাসের জন্য পথ ধরা? এরকম নানা প্রশ্ন ভক্তদের।

অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ ও এস আই টুটুলের ২৩ বছরের সংসার ভাঙার কারণও মিলছে না। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুলাই বিয়ে হয় টুটুল-তানিয়ার। তাদের আছে তিন সন্তান। কেন ভেঙে গেল প্রেম করে পাতা দীর্ঘদিনের সংসার? ডিভোর্সের কারণ নিয়ে এখনও দুজনই আছেন চুপ।

ফেসবুকে এক প্রতিক্রিয়ায় জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘১৯৯৯ সালে বিবাহ করার অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের সাথে ২৩ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে নতুন জীবনের শুরু করেছেন সঙ্গীত শিল্পী এসআই টুটুল। ২৩ বছর বলা হলেও ২০১৭ সাল থেকে তারা আলাদা থাকছেন এবং ২০২১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। অবশ্য এটি তানিয়ার দ্বিতীয় বিয়ে ছিলো। প্রথম সংসারে ১০ বছরের একটি ছেলে রেখে টুটুলের সাথে ঘর বেঁধেছিলেন এই অভিনেত্রী। টুটুলের সাথে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে টুটুলের নতুন স্ত্রী সোনিয়াও মিডিয়া জগতের লোক। ২০১১ সালে প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন একাই ছিলেন। ওই সংসারেও তার একটি ছেলে রয়েছে। ১২ বছর সিঙ্গেল লাইফ কাটানোর পর টুটুলকে বিয়ে করেন।
পর্দা জগতে এই ভাঙাগড়ার খেলা বিস্ময়কর কোনো ঘটনা নয়। তানিয়া, সোনিয়া, টুটুল সকলেই পোড় খাওয়া ও অভিজ্ঞ। তানিয়া হয়তো আজ বুঝতে পারছে, যেদিন সে আরেক পুরুষের ঘর ছেড়ে এসেছিল সেদিন ঐ পুরুষটির কেমন লেগেছিল! কিন্তু মা-বাবার এই ভাঙাগড়ার খেলা সন্তানদের উপর কী প্রভাব পড়ে সে বিষয়ে চিন্তিত বলে মনে হয় না। সন্তানদের জন্য শুভ কামনা।’’

আসমা ফেরদৌস অরপা নামে একজন লিখেছেন, ‘‘একদিন ভালোবাসার গল্প নামক একটি অনুষ্ঠানে তানিয়া আর টুটুলের ভালোবাসার কত গল্প শুনলাম। আর আজ,,,,,,,! ভালোবাসা রঙ বদলায়।’’

পাঠক মোহাম্মাদ মহিম উদ্দীন রনি লিখেছেন, ‘‘সিনেমা নাটক গায়ক মডেল জগতের মানুষগুলোর জীবনের অর্থই বোধহয় এটা।যাদেরকে আমরা বেশি আপন মনে করি বেশি ভালোবাসি তারা নিজেদের মধ্যে আপন হতে পারে না কিংবা একে অপরকে ভালবাসতে পারে না।’’

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সানজিদা সুলতানা অমি লিখেছেন, ‘‘জামা বদলানুর মত এখন মানুষ জীবন সাথী পরিবর্তন করে। এত গুলি বছর যুগ একসাথে থেকে সব কিছু শেষ করে দেয় এক মুহুর্ত সময় নেয় না, এইসব খবর এখন নিত্য দিনের ঘটনা। আল্লাহ সকল স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভাল রাখুক অটুটু রাখুক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।’’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন