আরব আমিরাত সরকারের বিশেষ স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে ৫ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা পেল বাংলাদেশি তাওহিদুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার তাকে এ গোল্ডেন ভিসা প্রদান করা হয়। তার বাবা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম আরব আমিরাতের নামকরা আল-আনসারী এক্সচেঞ্জের ম্যানেজার এবং তার মা মাহবুবা সিদ্দিকা সিপু আল-আনসারী এক্সচেঞ্জের ফরেন কারেন্সি ক্যাশিয়ার। বাড়ি বরিশাল সদরে। তারা আমিরাতে বসবাস করছেন প্রায় ১৯ বছর।
আমিরাত সরকারের গোল্ডেন ভিসা প্রদানের ক্যাটাগরি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ‘এ’ লেভেল (এইচএসসি) পরীক্ষায় সকল বিষয়ে শতকরা ৯৬ নম্বর পেতে হবে। কিন্তু দুবাইয়ের আরব ইউনিটি স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী বাংলাদেশি তাওহিদুল ইসলাম ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ইংলিশ মিডিয়ামে ব্রিটিশ সিলেবাসে সকল বিষয়ে শতকরা ৯৮ নম্বর অর্জন করে ধারাবাহিক সাফল্য অব্যাহত রাখে। এর আগে একই স্কুল থেকে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ‘ও’ লেভেল (এসএসসি) পরীক্ষায় সকল বিষয়ে এ* (এ-স্টার) পেয়ে বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক সুনাম বয়ে আনে।
গোল্ডেন ভিসা পেয়ে খুবই আনন্দিত তাওহিদুল ইসলাম। এদিকে ছেলের এমন সাফল্যে সম্মানবোধ করছেন তার বাবা-মাও। এ জন্য আরব আমিরাত সরকারকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান তারা।
তাওহিদুল ইসলাম বর্তমানে চেক রিপাবলিক অফ ইউরোপ-এর নামকরা চার্লস মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে এমবিবিএস (জেনারেল মেডিসিন) কোর্সে পড়ালেখা করছে। প্রসঙ্গত: আমিরাতের গোল্ডেন ভিসাপ্রাপ্তরা উচ্চ শিক্ষা অর্জনে পৃথিবীর যে কোনো দেশে গিয়ে পড়ালেখা করার ক্ষেত্রে আমিরাতের কোনো বাধা নেই। বরং পড়ালেখা শেষে আমিরাতে এসে গোল্ডেন ভিসায় (নবায়নযোগ্য) সুবিধামতো যে কোনো কাজ করতে পারবে।
অপরদিকে মেধাবী তাওহিদুল ইসলামের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলে গোল্ডেন ভিসা প্রাপ্তির সম্মাননায় তার বাবা-মাকেও গোল্ডেন ভিসা প্রদান করতে যাচ্ছে আমিরাত সরকার। ইনকিলাবকে জানালেন তাওহিদুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গোল্ডেন কার্ড ভিসা আরব আমিরাতে অবস্থানরত বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, বিশেষ প্রতিভা, গবেষক, বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট শিক্ষার্থীদের স্থায়ী আবাসিক বাসস্থান (ক্যাটাগরী অনুযায়ী ১০/৫ বছর মেয়াদি) প্রকল্পের একটি অংশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন