মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নভেম্বরের পর করোনার টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শেষ হচ্ছে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান। এরপর নতুন করে কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য সংরক্ষিত টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. শামসুল হক বলেন, দেশে মহামারি সংক্রমণের পর তা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় ৩০ কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ মিলিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের হাতে এখনও এক কোটি ৯৩ লাখ ডোজ টিকা মজুত আছে। এক্ষেত্রে প্রথম ডোজের জন্য আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। অর্থাৎ আমাদের টার্গেট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ এখনও প্রথম ডোজ টিকা নেয়নি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ ও প্রথম ডোজের মধ্যে পার্থক্য প্রায় ৯৪ লাখ। তারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নেননি। সব মিলিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও গ্রহীতারা নেননি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এখনও এক কোটি ৯৩ লাখ টিকা মজুত আছে। বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা টিকার ব্যবহারের মেয়াদ নভেম্বরে শেষ হবে। কোনো টিকা ২১, কোনো টিকা ২৩, কোনো টিকা ৩০ নভেম্বরের পর আর ব্যবহার করা যাবে না। যেহেতু এখনও বড় একটা সংখ্যক মানুষ প্রথম ডোজ নেয়নি, সেক্ষেত্রে তাদের উচিত হবে এখনই প্রথম ডোজ নিয়ে নেওয়া। নিলে আমাদের প্রথম ডোজ সেপ্টেম্বরে প্রায় শেষ হয়ে যাবে। আর এর একমাস পর দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিতে পারবেন। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম চলমান আছে। যারা এখনও টিকা নেয়নি তারা যেকোনো জায়গায় নিবন্ধন করে টিকা নিয়ে নিতে পারবেন বলেও জানান সরকারের টিকা কার্যক্রমের এই পরিচালক।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য বিভাগ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকার দেশের মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ৭৬ দশমিক ০৫ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজ, ৭০ দশমিক ৩০ শতাংশকে দ্বিতীয় এবং ১৭ দশমিক ৯০ মানুষকে বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের টিকা প্রদান করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন