পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি মোঃ শামসুল হক ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে উপজেলা সদরের একঠি মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে স্কুল চলাকালীন সময়ে ছুটি ছাড়াই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের কাজের কথা বলে বিদ্যালয় থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত একটি মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। মানববন্ধনস্থলে তিনি প্রায় তিন ঘন্টা অবস্থান করেন। যার ফলে বিদ্যালয়ের অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা সদরে লন্সঘাট রোডে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বাজিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি শামসুল হক সকাল ১০ টায় এসে পৌঁছান এবং দুপুর সাড়ে ১২০টার পরে ওই স্থান ত্যাগ করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাসে চার-পাঁচ দিন ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অফিস সহকারী শামসুল হককের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বাবুল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, সে মাধ্যমিক অফিসে কাজের কথা বলে উপজেলা সদরে গিয়েছে। তবে সেখানে গিয়ে সে কি করেছে তা তো আমার জানা নেই। মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে থাকলে ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল কবির বলেন,আজ (২৭ জুলাই) ওই স্কুলের কোন শিক্ষক-কর্মচারী আমার অফিসে আসেনি। তাছাড়া স্কুল চলাকালীন সময়ে জরুরী কাজের জন্য প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষক ব্যতীত অন্য কাউকে আমার অফিসে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন