শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মাদারীপুরে ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মানহানীর মামলার কার্যক্রম স্থগিত

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোটার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২২, ৬:৪৬ পিএম

দেশ বরেন্য ব্যক্তিত্ব , ইসলাম ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠার কলম সেনানায়ক দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীন এর বিরুদ্ধে মাদারীপুরে দায়েরকৃত মানহানী মামলা অবশেষে স্থগিতাদেশ প্রদান করেছে আদালত।মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের উপর মাদারীপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজ বৃহম্পতিবার দুপুরে মামলার কাযক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন। গত ৯ ই জুন মামলার ধার্য্য তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদাশের জাবেদা নকল উপস্থাপন করা হলে তা শুনানীর জন্য আজ (২৮জুলাই) দিন ধার্য্য রাখেন সংশ্লিস্ট আদালতের বিচারক। সকাল ১১ টায় বিচারক মামুনুর রশীদ মামলাটি বাদী মাদারীপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট গোলাম কিবরিয়ার উপস্থিতিতে এবং ইনকিলাব সম্পাদকের পক্ষে এডভোকেট আবুল হাসান সোহেলসহ একাধিক আইনজীবির পুর্নাঙ্গ শুনানী শেষে মহামান্য হাইকোর্টের পরবর্তী রুল নিস্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত মামলার কাযক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেন।

মামলার আরজীর সুত্রে জানা গেছে, ২০২০সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শাজাহান খানের একমাত্র মেয়ে ঐশী লন্ডন থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। করোনাভাইরাসের কারণে তিনি আর যেতে পারেননি। গত ২৬ জুলাই বিমানে ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল তার। এর দু’দিন আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আইসোলেশন সেন্টারে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করান তিনি। একদিন পর তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে আসে। কিন্তু ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের সময় অনলাইনে তাকে করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসেবে দেখানো হয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই শাজাহান খান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চান। পরে সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেটারেন্স সেন্টারের পরিচালক ভুলের দায় স্বীকার করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের ডাটা অপারেটরের ভুলের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। যার জন্য শাজাহান খান বা তার মেয়ে মোটেও দায়ী নন।২৮ জুলাই তার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাজাহান খানকে নিয়ে অসত্য তথ্য লেখেন বলে দাবী করা হয়। পত্রিকায় শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ‘করোনাভাইরাস সনদ জালিয়াতির’ অভিযোগ এনে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই বছর ৩১ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। শাজাহান খানের রক্তসম্পকীয় আত্বীয় না হলেও ঘনিষ্টজন হিসেবে মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার।
এর প্রেক্ষিতে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (এডমিন এ্যান্ড মার্কেটিং) মো:আবদুল কাদের ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামূনুর রশীদ এর আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হলে আদালত ৫হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীন মহামান্য হাইকোর্টে হ্ইাকোর্ট ডিভিশনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতাদেশ চেয়ে ফৌজদারী বিবিধ ২৯৭৪৯/২১ নং মামলা দায়ের করলে মহামান্য প্রথমে ৪ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করে এবং পরবর্তীতে চলতি বছর ১লা মার্চ মহামান্য হাইকোটের দ্বৈত বেঞ্চে পুর্নাঙ্গ শুনানী হলে বিজ্ঞ বিচারপতি জনাব আবু জাফর সিদ্দিক এবং মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী মাদারীপুরের মানহানী মামলাটি রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এদিকে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে মাদারীপুরে দায়েরকৃত মামনহানী মামলার কাযক্রম স্থগিতাদেশ আদেশ হওয়ার সংবাদে সমমনা স্থানীয় সাংবাদিকরা আনন্দ প্রকাশ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন