আলোহা বাংলাদেশের আয়োজনে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হলো ১৪ তম জাতীয় পর্যায়ের অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা ২০২২। শুক্রবার (২৯ জুলাই) আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৫শ’টির বেশি স্কুল থেকে ১হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে আলোহা বাংলাদেশ।
শিশুরা কতো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সমাধানে পৌঁছাতে পারে এটা পরীক্ষার উদ্দেশ্যেই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়। প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয় এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই উল্লেখিত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমাধান করে।
আয়োজনের প্রথমপর্ব জাতীয় সংঙ্গীতের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার মি. লোহমুনসাঙ। এরপর শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর পর শুরু হয় শিক্ষার্থীদেও পরীক্ষা। মোট-৩টি ব্যাচে প্রায়-১,৮০০ শিক্ষার্থী এ ম্যাথ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
এদিন বিকেলে দ্বিতীয়পর্বে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শুরু হয় আলোহা বাংলাদেশের থিমসং দিয়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার লোহমুনসাঙ, আলোহা ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর মিস. কিরণ মাতওয়ানি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী এবং মো. শামসুদ্দিন টিপু, ডিরেক্টও আলোহা বাংলাদেশ।
স্বাগত বক্তব্যে আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলীহায়দার চৌধুরী বলেন, মস্তিষ্কেও মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক মালয়েশিয়া থেকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে আলোহা বাংলাদেশ। আমরা লক্ষ্য করছি প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক প্রতিয়োগিতায় উল্লেখযোগ্য ফলাফল করছে। শুধু তাই নয় আলোহার শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে নানা ধরণের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে এবং বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার লোহমুনসাঙ বলেন, আমরা চাই পুরো পৃথিবী জুড়ে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টিশীল বিকাশ ঘটুক। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতি বছর বাংলাদেশের এত ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণ আমাকে বিষ্মিত করে, অনুপ্রানিত করে। আমরা চাই এ মেধাবী মুখগুলো ভবিষ্যতে দেশের উন্নতিতে অংশগ্রহণ করুক। শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেয়া হয়। এরপর আলোহা কোয়ালিফাইড শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। শেষে ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য জাতীয় পর্যায়ে উন্নিত শিক্ষার্থীরা এ বছরের মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানের হেলথ কেয়ার পার্টনার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল লি: এবং ইভেন্ট এ্যান্ড ষ্ট্র্যাটিজিক পার্টনার ছিল নিয়াফ কমিউনিকেশন লিমিটেড।
উল্লেখ্য: ২০০৬ সালের মার্চ থেকে এদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আলোহা বাংলাদেশ। আলোহা আইএসও সনদ প্রাপ্ত লানিং সিস্টেম যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত,মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪২টি দেশের ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের সাথে কাজ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন