শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আফ্রিকার বাইরে স্পেন-ব্রাজিলে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২২, ১২:৫৩ পিএম

আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে স্পেন ও ব্রাজিল। দুটি দেশই মাঙ্কিপক্সে একজন করে মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে। আজ শনিবার আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে মাঙ্কিপক্সে ৩ হাজার ৭৫০ জন শনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১২০ জন। মাঙ্কিপক্সে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সে মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৪১। তিনি লিম্ফোমায় আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর ইমিউনিটি সিস্টেম ছিল বেশ দুর্বল।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মিনাস গেরাইসের স্বাস্থ্য সচিব ফ্যাবিও ব্যাচেরেত্তি বলেছেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি মাঙ্কিপক্স ছাড়াও অন্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর হার অনেক কম।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুসারে, দেশটিতে মাঙ্কিপক্সে শনাক্তের সংখ্যা প্রায় হাজারের কাছাকাছি। সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে সাও পাওলো এবং রিও ডি জেনিরো রাজ্যে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক আধানম ঘেব্রেসাস বলেছেন, এ পর্যন্ত ৭৮টি দেশে ১৮ হাজার মানুষের শরীরে মাঙ্কিপক্সের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি শনাক্ত হয়েছে ইউরোপীয় অঞ্চলে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে ২৫ শতাংশ।
তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেসাস আরও বলেছেন, শনাক্ত হওয়া ৯৮ শতাংশই ‘পুরুষের সঙ্গে পুরুষ’ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এটি যেকোনো ভাইরাসের মতোই বিপজ্জনক এবং এ ধরনের সম্পর্ক মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে উৎসাহিত করতে পারে।
প্রসঙ্গত, মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ওই সব অঞ্চলের মানুষের কাছে মাঙ্কিপক্স খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। গত ৭ মে যুক্তরাজ্যে প্রথম মাঙ্কিপক্স ধরা পড়ে। যাঁর শরীরে মাঙ্কিপক্স ধরা পড়ে, তিনি সম্প্রতি নাইজেরিয়া ভ্রমণ করেছিলেন।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য অনুসারে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির অসুস্থতা খুব বেশি মাত্রায় হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ভাইরাসটি খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না। ব্যাপক মানুষের মাঝে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।
কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এমভিএ-বিএন (মোডিফাইড ভ্যাক্সিনিয়া আংকারা-ব্যাভারিয়ান নর্ডিক) নামের টিকা অনুমোদন করেছে এবং আরও দুটি টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে টিকার কার্যকারিতা ও ডোজ সম্পর্কিত তথ্যের অভাবের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে গণটিকার সুপারিশ করছে না।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সূত্র : আল জাজিরা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন