করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মানুষ যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই নতুন ‘আতঙ্ক’ হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছে আফ্রিকান ভাইরাস মাঙ্কিপক্সের। এরইমধ্যে পৃথিবীর ১৮টি দেশে দেড় শতাধিক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে কেউ আক্রান্ত না হলেও সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব বন্দরে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে এখনও বাংলাদেশের ভয়ের কোনো কারণ নেই। এছাড়া করোনাভাইরাসের মতো এটি এতোটা সংক্রামকও নয়। তাই এই ভাইরাস নিয়ে এতোটা উদ্বিগ্ন না হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্কতার পরামর্শ তাদের।
যেসব কারণে বাংলাদেশে আসার ঝুঁকি কম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক বে-নজির আহমেদ জানান, বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্স আসবে কি না এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এজন্য আমাদের কিছু বিষয় বুঝতে হবে, এর মধ্যে একটি হলো উৎস। এক্ষেত্রে মাঙ্কিপক্সের প্রধান উৎস হলো মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে এটি এনডেমিক ডিজিজ। আর দ্বিতীয়ত এই রোগের উৎস হলো, ইদানিং ১২/১৪টি দেশে এই রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে সে দেশগুলোতে কিন্তু এখনও প্রমাণিত হয়নি যে রোগটির কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। তার মানে আমাদের দেশে রোগটি আসার ক্ষেত্রে আমরা ধরতে পারি, মূল সোর্স হলো পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন