রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটক লেখার ১০০ বছর পূর্তি হবে আগামী বছর ২৬ এপ্রিল ২০২৩। এটি উদযাপনের জন্য এক বছরব্যাপী পরিকল্পনা রয়েছে প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের। এ ধারাবাহিকতায় করোনাকালসহ তিন বছরের লম্বা বিরতির পর আবারও মঞ্চে আসছে নতুন ভাবনা আর নতুন আয়োজনে নূনা আফরোজ নির্দেশিত প্রাঙ্গণেমোর-এর দর্শক নন্দিত প্রযোজনা ‘রক্তকরবী’। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত নাটক ‘রক্তকরবী’ আগামী ৫ আগস্ট, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চায়িত হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, সরোয়ার সৈকত, সাগর রায়, নিজাম লিটন, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, সুজয়, ঝুমুর, সুমন, বাঁধন সরকার, মাছুম, পার্থ ও রুমা। এর গল্পে দেখা যাবে, ঘটনাস্থানটির প্রকৃত নামটি কী সে সম্বন্ধে ভৌগলিকদের মতভেদ থাকা সম্ভব। কিন্তু সকলেই জানেন, এর ডাকনাম যক্ষপুরী। পÐিতরা বলেন, পৌরাণিক যক্ষপুরীতে ধনদেবতা কুবেরের স্বর্ণসিংহাসন। কিন্তু এ নাটকটি একেবারেই পৌরাণিক কালের নয়, একে রূপকও বলা যায় না। যে জায়গাটার কথা হচ্ছে, সেখানে মাটির নীচে যক্ষের ধন পোঁতা আছে। তাই সন্ধান পেয়ে পাতালে সুড়ঙ্গ খোদাই চলছে, এইজন্যেই লোকে একে যক্ষপুরী নাম দিয়েছে। যক্ষপুরীর রাজার প্রকৃত নাম সম্বন্ধে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতের ঐক্য কেউ প্রত্যাশা করে না। এইটুকু জানে, এর নাম মকররাজ। যথাসময়ে লোকমুখে এই নামকরণের কারণ বোঝা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন