নব্বই দশকের শ্রোতাপ্রিয় গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী। তার লেখা ও সুর করা অসংখ্য গান অসম্ভব শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। গেয়েছেন দেশের সেরা সঙ্গীতশিল্পীরা। তার লেখা আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘কষ্ট পেতে ভালবাসি’, ‘কউ সুখী নয়’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’ গানগুলো এখন শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। এছাড়া তার লেখা ‘নীল বেদনা’, ‘আহা জীবন’, ‘একটা চাকরি হবে চাঁদমামা’,‘জেল থেকে বলছি’, ‘গিটার কাঁদতে জানে’, ‘প্রিয় আকাশি’, ‘নাটোর স্টেশন’, ‘একজন বিবাগি’, ‘এ শহরের কতশত অট্টালিকার ফাঁকে’, ‘পলাশির প্রান্তরে’, শেষ ঠিকানা’, ‘হ্যলো ঢাকা’, ‘হাজার বর্ষা রাতসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান আজও শ্রোতাদের মুখে শোনা যায়। তিনি নিজেও অনেক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। অসাধারণ গুণী এই গীতিকবি ও সুরকার দীর্ঘদিন সঙ্গীত জগতে অনুপস্থিত ছিলেন। ব্যস্ত হয়ে পড়েন উপন্যাস লেখালেখির কাজে। তবে সেই ব্যস্ততা ভেঙ্গে আবারও গানে ফিরছেন তিনি। এখন থেকে তাকে নিয়মিত গানে পাওয়া যাবে। সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন তার লেখা ও সুর করা একটি গান। গানটির শিরোনাম ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গান’। গানটিতে রয়েছে, হতাশা ও আত্মহত্যা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান। গানটির সঙ্গীতায়োজন ও কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ইসলাম। শিবলী বলেন, সবশেষ মনে হয়, চার বছর আগে গানের কাজ করেছিলাম। এরপর বই লেখালেখির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এর মধ্যেই খেয়াল করলাম, কোথাও কোনো সুখবর নেই, চারিদিকে শুধু হতাশা। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক অথবা ব্যক্তিজীবন সব কিছুতেই নেমে এসেছে বিপর্যয়। এসব থেকে বাঁচার জন্য মানুষ নিজেকে নিজেই হত্যা করছে। আর বর্তমানে আত্মহত্যা রূপ নিয়েছে মহামারিতে। শিবলী বলেন, প্রতি বছর বিশ্বে ১৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করছে। প্রতি ২০ সেকেন্ডে একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। আমাদের আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ গোপনে গোপনে প্রস্তুত হচ্ছে; নিজেকে শেষ করে দেওয়ার, আমরা কি সে সব খবর রাখি? এসব ভাবনা থেকেই নতুন এই গানের কথা লিখেছি। শিবলী জানান, এখন থেকে নবীন শিল্পীদের নিয়ে প্রতিনিয়তই নতুন গান প্রকাশ করবেন । শুধু তাই নয়, তার কণ্ঠেও আসবে নতুন গানের নানা আয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন