‘এক চীন’ নীতির প্রতি একনিষ্ঠ থাকবে নেপাল। আমেরিকার সাথে বিশেষ দহরম-মহরম করার চেষ্টা করবে না। বেইজিং সফরে গিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সাথে বৈঠকে এই দুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাহবা লাভের সাথে সাথে দেশের রাস্তাঘাট, সেতু ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য বড়সড় অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতি আদায় করে ফিরেছেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ খড়কা।
ওয়াং জানিয়েছেন, হিমালয়ের ছোট্ট দেশ নেপালকে সেই ২০১৯-এই ‘স্ট্র্যাটেজিক সহযোগী’-র মর্যাদা দিয়েছেন তারা। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবোর)-এর অংশ হিসেবে নেপাল ও চীনের মধ্যে রেল ও সড়ক যোগাযোগ চালুর কারিগরি দিকগুলো খতিয়ে দেখতে এই বছরই কাঠমান্ডুতে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে বেইজিং। এই যোগাযোগ স্থাপিত হলে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী খড়কার নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি নেপালি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে বেইজিং গিয়েছিল। তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে খড়কা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংকে জানান, নেপাল ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাসী এবং সেই বিশ্বাসে তারা অটল থাকবে। খড়কা চীনা নেতৃত্বকে জানিয়ে এসেছেন, আমেরিকার সাথে খুব একটা নিবিড় সম্পর্ক নেপাল সরকারের নেই। ভবিষ্যতেও আমেরিকার সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরির নীতিতে তারা বিশ্বাসী নন। আমেরিকা বা অন্য কোনো দেশ নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক, কাঠমান্ডু তা চায় না।
নেপালের এই দুই অবস্থানেরই প্রশংসা করেছেন ওয়াং। নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিকাঠামো তৈরি ও উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন এবং কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নে ঢালাও সাহায্য করবে চীন। এ বিষয়ে অগ্রাধিকার বিবেচনার ভারও বেইজিং কাঠমান্ডুকেই দিয়েছে।’ এ ছাড়াও নেপালের জন্য প্রায় ১২ কোটি ডলার অতিরিক্ত অর্থসাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে বেইজিং। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন