সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নেপাল। মঙ্গলবার বিকালে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুরুতে পিছিয়ে থেকেও ভারতকে ৩-১ গোলে হারায় হিমালয় কন্যারা। নেপালের পক্ষে ফরোয়ার্ড অঞ্জলি চাঁদ, অধিনায়ক প্রীতি রায় ও ফরোয়ার্ড আমিশা কারকি একটি করে গোল করেন। ভারতের হয়ে একমাত্র সান্তনার গোলটি করেন ফরোয়ার্ড অপূর্ণা নারজারি। ম্যাচ জিতে নেপাল টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার টিকিট কাটলেও বিদায় অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে ভারতের। কারণ মঙ্গলবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় (রাত সাড়ে ৭টা) লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে আছে অপেক্ষাকৃত দূর্বল ভুটানের বিপক্ষে। এ ম্যাচটি নূন্যতম ড্র হলেও ফাইনালে খেলবে নেপাল ও বাংলাদেশ। বিদায় নেবে ভারত। আর বাংলাদেশ যদি ভুটানের কাছে হেরে যায় তাহলে ফাইনালে উঠবে ভারতীয়রা।
নেপালীরা তিন ম্যাচে এক হার ও টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। সমান ম্যাচে একটি করে জয়, ড্র ও হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভারতীয়রা। বাংলাদেশের অর্জন দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রতে ৪ পয়েন্ট।
লিগ পর্বের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হারার পরই যেন নিজেদের খুঁজে পায় নেপালের মেয়েরা। পরের ম্যাচেই তারা ভুটানকে হারায় ৪-০ গোলে। আর শেষ ম্যাচে তো তাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভারত। যদিও ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে প্রথম গোল আদায় করে নেয় ভারতীয়রা। ২১ মিনিটে সুমতি কুমারীর ক্রস থেকে বল পেয়ে অপূর্ণা প্লেসিং শটে গোল করে আনন্দে ভাসান ভারত শিবিরকে (১-০)। এই ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে যেন জ্বলে ওঠে নেপাল। বিরতির পরে তারা গোছানো ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষের সীমানায় একের পর এক আক্রমণ চালায়। এই অর্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে নেপাল। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ভারতীয় রক্ষণভাগের দূর্বলতায় অঞ্জলি চাঁদ গোল করে সমতা আনেন (১-১)। ম্যাচে সমতা আসার পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় নেপালের মেয়েদের। তারা ভারতের সীমানায় আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দিয়ে বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করে। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন নেপাল অধিনায়ক প্রীতি রায় (২-১)। আর ম্যাচের ৮৯ মিনিটে আমিশা কারকি গোল করলে সহজ জয়ের পাশাপাশি ফাইনাল নিশ্চিত হয় নেপালের (৩-১)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন