দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের পাইকারি খুচরা বাজারে ব্যাপক হারে বেড়েছে দাম। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে মুরগির ডিম প্রতি (চারটি) হালিতে ৯ থেকে ১২ টাকা বেড়ে হালি প্রতি বিক্রি হচেছ ৫ থেকে ৫৫টাকা এ ছাড়া হাঁসের ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি,খাসির মাংস ও গরুর মাংসের দামও । জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে এমন অজুহাতে এসব পণ্যের দাম এক লাফে এতটা বাড়ানো হয়েছে এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
ভোক্তারা বলছেন,গরিবের প্রোটিন হিসেবে পরিচিত ডিমের মূল্য এক সপ্তাহ আগেও পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালি লেয়ার মুরগির ডিম ৩৬ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৮ টাকা দরে এবং হাঁসের ডিম ছিল প্রতি হালি ৪৫টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই ডিম পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালি ৪৮ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৫০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৪৫ টাকা হালি দরের হাঁসের ডিম খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ডিমের পাইকারি বাজার ফুলবাড়ী শহরের বাজার এবং মহল্লার মুদিদোকান ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ফুলবাড়ী বাজারে ৩-৪টি ডিমের আড়তে লাল লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪৫ টাকা এবং সাদা লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে পৌর শহরের খুচরা দোকানগুলোতে লাল লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ডিম ৪৮ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পৌর বাজারের গিয়ে জানা গেছে বর্তমানে প্রতি এককেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা,পাকিস্থানী মুরগি ২৭০টাকা,লেয়ার ২৮০ টাকা এবং দেশী মুরগি ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৫০ টাকা,পাকিস্থানী মুরগি ২৪০টাকা,লেয়ার ২৫০ টাকা এবং দেশী মুরগি ৩২০ টাকা ।অন্যদিকে খাসির গোশত ৭’শ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা,গরুর গোশত সাড়ে ৬০০টাকা। গোশ্ত ব্যবসায়ী আজগর আলী,ইপিয়ার,লালু ও মেহেরাব জানান,বেশি দামে গবাদিপশু কিনতে হচ্ছে,আমদানিও কম, তাই মাংসের দাম বেশি।
ক্রেতা আনারুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রতি হালি ডিম কিনেছেন ৩৮ টাকা দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ শনিবার একই আড়তে ডিম কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে। তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগেছে। সবজি থেকে শুরু করে চাল, ডাল, মসলা, মাছ, গোশত সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী,এভাবে বাড়তে থাকলে কিভাবে চলবে সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে দাম বাড়লেও লাভ বাড়েনি বলছেন ডিম ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন ও সুমন সাহা। তারা বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর পরিবহন খরচ বেড়েছে। সেই সাথে মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে এ কারণে স্থানীয় অনেক খামারীরা খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে রংপুর,বামনডাঙ্গা,ঠাকুরগাঁও থেকে ডিম আসছে, তাও চাহিদার তুলনায় কম। সেজন্য ডিমের দাম বেড়েছে। আগে প্রতি হালি ডিমে দু-তিন টাকা লাভ হতো এখনো লাভের অঙ্কটা ওরকমই আছে।
প্লোল্ট্রি খামারী শাহিনুর ইসলাম জানান, অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সাথে সাথে মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে,সে কারনে খরচ বেশি হওয়ায় বেশি দামে মুরগি বেচতে হচ্ছে। তাতেও খুব একটা পরতা হচ্ছেনা। অনেকে এ কারনে খামার বন্ধ করে দিচেছ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন