আগামী ১৯ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে মাহিয়া মাহি ও জিয়াউল রোশান অভিনীত সিনেমা ‘আশীর্বাদ’। সরকারি অনুদান প্রাপ্ত সিনেমাটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। ইতোমধ্যে সিনেমাটির প্রচারণার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এ প্রচারণায় মাহি অংশগ্রহণ করছেন না। সংবাদ সম্মেলনেও উপস্থিত ছিলেন না। সম্প্রতি সিনেমাটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রযোজক। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে মাহিয়া মাহিকে নিয়ে অভিযোগ তোলেন প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস। সংবাদ সম্মেলনে ও প্রচারণা কাজে মাহি নেই কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মাহিয়া মাহি বলেন, সিনেমা মুক্তির বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি ১৯ আগস্ট সিনেমাটি মুক্তি পাবে। সংবাদ সম্মেলনের কথাও আমাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানার পর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক স্যারকে ফোন দিয়েছিলাম। তার ফোন বন্ধ পাই। পরে রাতে তিনি আমাকে ফোন দিলে জানতে চেয়েছিলাম, আমাকে সংবাদ সম্মেলনে কেন ডাকা হয়নি। তিনি আমাকে বলেন, বাদ দাও এসব। প্রচারণা কাজে অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে মাহি বলেন, সিনেমাটির পোস্টার যখন প্রকাশ করা হয়, তখন দেখেছি। পোস্টারটি আমার ভালো লাগেনি। মাহি বলেন, একজন আর্টিস্ট তখনই নিজ থেকে সিনেমার প্রচার শুরু করবে, যখন সিনেমার পোস্টার মান সম্মত হবে। এটি মানসম্মত হয়নি। সিনেমার প্রচার কাজের জন্য ফটোশুট অত্যন্ত জরুরি। এ সিনেমার কোনো ফটোশুট হয়নি। সিনেমার ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ একটা মোবাইল দিয়ে করেছে। আমাদের কাউকে পোস্টার দেখায়নি বা শেয়ার করেনি। মাহি বলেন, দর্শককে সিনেমা হলে আনতে হলে প্রচারণার বিকল্প নেই। এই প্রচারণার জন্য মানসম্পত উপকরণ তো লাগবে। ‘আশীর্বাদ’ সিনেমার প্রচারের জন্য মানসম্মত পোস্টারসহ অন্য কোনো উপকরণ নেই। হয়তো প্রযোজক ভাবছে এটা শুধু তার নিজের সিনেমা।
মাহি বলেন, ‘আশীর্বাদ’ সরকারি অনুদানের সিনেমা। অনুদানের সিনেমা আমি প্রাধান্য দিই। কারণ, এটা সরকারি একটা প্রজেক্ট। সরকারি সিনেমা অনুযায়ী, এই সিনেমার অনেক টাকা বাজেট। সেখানে আমরা প্রত্যেক আর্টিস্ট একদম কম সম্মানীতে কাজ করেছি। উদাহরণ স্বরূপ, ১০ টাকা সম্মানীর জায়গায় ৫ টাকায় কাজ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা হওয়ায় অনেক আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছি। সেখানে যদি শিল্পীদের মূল্যায়ন করা না হয়, তবে তা হতাশাজনক। মাহি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে এই সিনেমা মুক্তি দেয়া উচিৎ। হাওয়া ও পরাণ সিনেমা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ সিনেমার ক্ষেত্রে শুধু একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রচারণার কাজ করা হয়েছে। সরকারি একটি সিনেমার প্রচারণা কেন এমন হবে? একটি সিনেমা ফ্লপ হলে একজন পরিচারক ও আর্টিস্টদের ইমেজে আঘাত আসে। কোন রকমে একটা পোস্টার করে আপলোড করলে তো হবে না। সিনেমার অসঙ্গতি তুলে ধরে মাহি বলেন, যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা, তাই এখানে পাক হানাদার বাহিনীর প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ শিল্পী দরকার। অথচ তা না করে যে গ্রামে শুটিং হয়েছে, সে গ্রামের ছোট ছোট ছেলেদের ড্রেস পড়িয়ে পিস্তল দিয়ে শুটিং করেছে। এমন অসঙ্গতি নিয়ে সিনেমা নির্মিত হওয়া দুঃখজনক। এটি যথাযথভাবে নির্মিত হয়নি। সিনেমাটির প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌসকে নিয়ে মাহি বলেন, তিনি নিজেকে হাইলাইট করার জন্য বেশি কাজ করেছেন। শুরু থেকে সিনেমার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত নিজের প্রচারণার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন