রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্টের বক্স গার্ডার পড়ে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা আজ হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি লিখিত আকারে দাখিলে পরামর্শ দেন।
ওই ঘটনা নিয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইন ও সালিস কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে আইনজীবী শাহীনুজ্জামান ও জামিউল হক ফয়সাল এবং আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছেন।
আইনজীবী শাহিনুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার পড়ে নিরীহ ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং নির্মাণাধীন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে আদালতের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করি। আদালত বিষয়টি লিখিত আকারে নিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা লিখিত আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
উত্তরার জসীমউদ্দীন মোড়ে প্যারাডাইজ টাওয়ারের সামনের সড়কে গতকাল সোমবার বিকেলে ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপা পড়ে একটি প্রাইভেট কার। ক্রেনে তোলার সময় ভায়াডাক্টের অংশটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত গাড়িটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুই শিশুসহ পাঁচজন। আহত হন আরও দুজন।
গতকাল সোমবার ১৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন।
ওই দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), ফাহিমা, জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। গাড়িতে থাকা হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি গুরুতর আহত হয়ে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাদের স্বজনরা জানান, ফাহিমা হলেন নববধূ রিয়া মনির মা। আর ঝর্ণা হলেন তার খালা। রুবেল সম্পর্কে ফাহিমা-ঝর্ণার বেয়াই। জান্নাত ও জাকারিয়া ঝর্ণার সন্তান। ফাহিমা-ঝর্ণাদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। আর রুবেলের বাড়ি মেহেরপুরে।
এই নির্মাণকাজ করার সময় সেখানে নেয়া হয়নি কোনো ধরনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা। ব্যস্ত সড়কে যান চলাচলের মধ্যেই এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছিল বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন