নানান প্রয়োজনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল ‘কল ধরেন না’ এবং দেখা করতে গেলে ‘তাঁকে প্রায় প্রতিবারই অফিসে পাওয়া যায় না’ বলে অভিযোগ এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সহকারী প্রক্টরদের সাথে যোগাযোগ করে মিটিংয়ের সময় নেয়ার পর ‘তিনি হয় বারবার এ মিটিং পিছিয়ে দিয়েছেন কিংবা উধাও হয়ে গেছেন’ বলে অভিযোগ এনে বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর আমিনা পারভীন বরাবর এক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ইস্যুতে গত চারমাসে প্রক্টর মহোদয়কে অসংখ্যবার কল দিয়েছি। কিন্তু তাকে পাওয়া গেছে মাত্র ৮-৯ বার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি ফোন ধরেন না। কল না ধরলে পরবর্তীতে তিনি সে কলব্যাক করারও প্রয়োজন বোধ করেন না। কয়েকবার সহকারী প্রক্টরদের সাথে যোগাযোগ করে মিটিংয়ের সময় নেয়া হলেও তিনি বারবার হয় মিটিং পিছিয়ে দিয়েছেন কিংবা উধাও হয়ে গেছেন। অন্যান্য কাজ ফেলে প্রক্টরের দেয়া সময় অনুযায়ী অফিসে তার সাথে দেখা করতে গিয়ে অনেকবারই তাকে পাইনি। তার সাথে দেখা করতে গেলে প্রায় প্রতিবারই তাকে প্রক্টর অফিসে পাওয়া যায় না।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রক্টরের দায়িত্ব ছাড়াও তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা মনে করি, দায়িত্বের ভারে তিনি নুইয়ে পড়েছেন। মূলত একজন প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাজনিত কাজে ব্যস্ত থাকবেন, কিন্তু তিনি প্রক্টরের কাজ ব্যতীত অন্য কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন। আমরা মনে করি, প্রক্টর নিজ দায়িত্ব ছাড়া অন্য কোন মিটিং বা কাজে ব্যস্ত থাকা উচিত নয়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম, শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় ।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজের জন্য তাকে যথাসময়ে পাওয়া যায় না, যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি আমাদের বহু দাবিদাওয়ারও নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের দাবী, তার উপর প্রক্টরের দায়িত্ব ব্যতীত অন্যান্য কাজগুলোর বোঝা কমিয়ে তিনি যাতে প্রক্টর হিসেবে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা জরুরি প্রয়োজনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বা তার নাম্বারে ফোন দিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেন তিনি ফোন ধরেন না বা অফিসে পাওয়া যায় না সে ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর আমিনা পারভীন অভিযোগপত্রটি পেয়েছেন বলে জানান এবং এর প্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি এবং এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ফোনের জবাব দেন নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন