ইউক্রেন সফরে তার সাথে থাকা সাংবাদিকদের এরদোগান বলেন, আসাদকে পরাজিত করা বা না করার মতো কোনো ইস্যু আমাদের নেই। তিনি বলেন, উত্তর সিরিয়া এবং ফোরাত নদীর পূর্ব ও পশ্চিমে আমরা যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তার সবই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদারের পরিকল্পনা করলেও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান দাবি করেছেন, সিরীয় কোনও ভূখণ্ড দখল করতে চায় না তুরস্ক। তুরস্কের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। সিরিয়ায় সরকারিবাহিনী পরিচালিত একটি সীমান্ত ফাঁড়িতে তুরস্কের বিমান হামলার কয়েক দিন পর এরদোগান এই মন্তব্য করলেন। ওই হামলায় ১৭ জন যোদ্ধা নিহতের খবর পাওয়া গেছে। যুদ্ধ পর্যালোচনাকারী একটি সংস্থা জানিয়েছে, তুর্কি অভিযানে নিহতদের মধ্যে সরকারি সেনা ও কয়েকজন কুর্দি নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-আসাদের সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে সপ্তাহব্যাপী গুঞ্জনের মধ্যে এরদোগান বলেন, ওই অঞ্চলের খেলা বন্ধে দামেস্কের সাথে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সিরিয়া সরকারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে না তুরস্ক। এরদোগান বলেন, তিনি তেহরান ও সিরিয়ার সাথে কাজ করতে চান। তবে ইরানের অন্য পরিকল্পনা থাকায় তা করতে পারছেন না। মিডলইস্ট আই এ খবর জানায়। এদিকে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি বাজারে গোলাবর্ষণে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। শুক্রবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আল-বাব শহরের একটি বাজারে রকেট হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কর্মরত জরুরি বিভাগের কর্মীদের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। অবশ্য হোয়াইট হেলমেট রেসকিউ গ্রুপ প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৯ বলে জানিয়েছিল। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি বলছে, হামলার পর উদ্ধার ও অনুসন্ধান অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। আর তাই নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শুক্রবারের এই হামলায় কমপক্ষে ৩০ আহত হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যেও শিশু রয়েছে। টানা ১১ বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। দীর্ঘ এই সংঘাতের কারণে গৃহযুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ভিন্ন ভিন্ন পক্ষ সিরিয়ার একেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুক্রবার হামলার শিকার হওয়া আল-বাব শহরটি তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীদের দখলে থাকা আলেপ্পো প্রদেশের মধ্যে পড়ে। তবে এই প্রদেশের অন্যান্য অংশ রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি সেনাদের দখলে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) সিরিয়ার উত্তর এবং উত্তর-পূর্বের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এসডিএফ-এর মিডিয়া সেন্টারের প্রধান ফরহাদ শামি বলেছেন, শুক্রবারের হামলার সাথে এই গোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক নেই। মিডল ইস্ট আই, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন