তাইওয়ানে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স পরিচালিত জরিপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ সদস্যই বলেছেন, সম্প্রতি স্বশাসিত অঞ্চলটি ঘিরে চীনের সামরিক মহড়ার কারণে সৃষ্ট উত্তেজনায় তাদের ব্যবসা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়নি। তবে এই মহড়া উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গত শুক্রবার ব্যবসায়ী গ্রুপটি এ কথা জানায়।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে বেইজিং। এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালাতে শুরু করে চীন।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স তাইওয়ান বলছে, যে তার ৫২৯ সদস্যের মধ্যে ১২৬ জন ৮-১৭ আগস্টের সমীক্ষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ৭৭ শতাংশ রিপোর্ট করেছেন যে চীনের মহড়ার কারণে তাদের ব্যবসা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়নি। ১৭ শতাংশ বলেছেন যে তারা শিপিং বা বীমা খরচ বৃদ্ধি, বা সাপ্লাই চেইন বিলম্বসহ কিছুটা ব্যাঘাতের মুখোমুখি হয়েছেন। ওই ১৭ শতাংশের প্রায় অর্ধেক বলেছেন যে ‘নীতির পরিবর্তন বা তাদের অফশোর সদর দপ্তর থেকে উদ্বেগের অন্যান্য প্রকাশ’ থেকে এই ব্যাঘাত ঘটেছে।
গ্রুপটি বলছে, সমীক্ষা করা কোম্পানিগুলোর ৪৬ শতাংশ ভেবেছিল সামরিক কার্যকলাপ বাড়বে সেই সঙ্গে এ বছর এবং পরবর্তীতে তাদের ক্রিয়াকলাপগুলোকে প্রভাবিত করবে। বাকিরা হয় অনিশ্চিত বা প্রভাবিত হবে বলে ভাবেনি।
নির্দিষ্ট ‘হুমকি’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কোম্পানিগুলো সাধারণ উত্তেজনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা, সীমাবদ্ধতা বা তাইওয়ানের পরিধিতে বাধা এবং নিষেধাজ্ঞা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, বয়কট এবং তাইওয়ানের পণ্য এবং মানুষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলেগালা বলেছেন, যে সংস্থাটি একুশ শতকের বাণিজ্য উদ্যোগের মাধ্যমে তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার জন্য একটি উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা আহ্বান করছে। ইতিমধ্যে তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ার জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন