অর্থ পাচার বা হুন্ডিতে কোনো মানিচেঞ্জারের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য উঠে আসার পর এখন উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করেছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করা এ ইউনিট।
বিএফআইইউ সরেজমিন পাওয়া বিভিন্ন ডকুমেন্টের সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন যাচাই করবে। এদিকে, ডিজিটাল হুন্ডিতে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন এমএফএস প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ এজেন্টের তথ্য চেয়েও বিএফআইইউ চিঠি দিয়েছে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, বিভিন্ন মানিচেঞ্জারের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডলার কেনাবেচায় কোনো কোনো মানিচেঞ্জার অস্বাভাবিক মুনাফা করেছে, তাও দেখা হচ্ছে। সা¤প্রতিক সময়ে আমদানি, রফতানি ও রেমিট্যান্সের পাশাপাশি নগদ ডলারের দর অনেক বেড়েছে। গত ১০ আগস্ট খোলাবাজারে ডলারের দর সর্বোচ্চ ১১৯ টাকায় ওঠে। এখন দর কিছুটা কমেছে। গতকাল খোলাবাজারে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায় ডলার বেচাকেনা হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব : বিএফআইইউ থেকে ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-নিবেদিতা মানি এক্সচেঞ্জ, বিজয় মানি এক্সচেঞ্জ, বিজয় ইন্টারচেঞ্জ, সিটি মনিটারি এক্সচেঞ্জ, বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ, মনডিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ, নবিলস মানিচেঞ্জার, হিমালয় ডলার মানিচেঞ্জার, ক্যাপিটাল মানিচেঞ্জার, মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জ, ডিপেনডেন্ট মানিচেঞ্জার, ঢাকা মানিচেঞ্জার, লর্ডস মানিচেঞ্জার, গেøারি মানি এক্সচেঞ্জ, ডিএন মানিচেঞ্জার, অংকন মানি এক্সচেঞ্জ, বিনিময় মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, কুমিল্লা মানি এক্সচেঞ্জ, এএসএন মানিচেঞ্জার, বিকেবি মানি এক্সচেঞ্জ, কেয়া মানি চেঞ্জার, আলফা মানি এক্সচেঞ্জ, ক্রিস্টাল মানি এক্সচেঞ্জ, দি লিঁয়াজো মানি এক্সচেঞ্জ ও উত্তরা মানিচেঞ্জার।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ৬০২টি মানিচেঞ্জারের লাইসেন্স দিলেও বর্তমানে ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের বৈধতা রয়েছে। স¤প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এবং ৪২টি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট তলব করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন