মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ডহরি-তালতলা খাল দিয়ে দিনে-রাতে অনিয়মতান্ত্রীতভাবে বালু বহনকারী বাল্কহেড চলাচলে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ভাঙনের মুখে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী ঘেষা বসতভিটা। সংবাদ প্রকাশের পর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা প্রশাসন ডহরি-তালতলা খালের উপর দিয়ে বালু বহনকারী জলযান বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এবং বাঁশ দিয়ে খালের উপর বেরিক্যাড দিয়ে সরু করা হয়েছে। নিয়ম না মানলে জরিমানা করা হবে যানা গেছে।
গত ২৪ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবে ডহরি-তালতলা খাল দিয়ে দিনে-রাতে অনিয়মতান্ত্রীতভাবে ওই বালু বহনকারী বাল্কহেড চলাচলে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ভাঙনের মুখে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী ঘেষা বসতভিটা। বালুখেকোদের কারণে সর্বগ্রাসী হচ্ছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দা। সরেজমিনে লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে, তীরবর্তী বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এককালের রাক্ষসি পদ্মা নদী ওই এলাকার ১৫টি গ্রামের কয়েক লাখ পরিবারকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। গত দুই বছর ধরে সরকারের পক্ষ থেকে গৃহহীনদের ২ শতাধিক পরিবারকে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর ও জমি দেয়া হয়েছে। তার পরেও নদীর ভাঙন কবলিত মানুষের আজও মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলেনি ওই নদী ভাঙা গ্রামের শত শত পরিবারের। স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর পূর্বে লৌহজং উপজেলায় ভাঙন কবলিত এলাকায় চর জেগে ওঠায় সর্বস্বান্ত পরিবারগুলো বাঁচার স্বপ্ন দেখেন। এরইমধ্যে জেগে ওঠা চরের ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে লৌহজং উপজেলার প্রভাবশালী বালুদস্যুদের উপজেলার প্রায় ২৫টি বালু সিন্ডিকেটের ও তাদের সহযোগীদের। ইতিমধ্যে চরের ৫০০ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। দৈনিক ইনকিলাবে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আওয়াল, বালিগাঁও বেইলিব্রিজ খেতেরপাড়া ও ডহরি খালের মুখে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে খালের মুখ সরু করে দিয়েছে । এবং মাইকিং করে এই খাল দিয়ে বাল্কহেড চলাচল না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযাদ্ধা দেলোয়ার হোসেন,খেতেরপাড়া ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মামুন, ৭,৮,৯ সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শিরিন আক্তার, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জুয়েল, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার সামসুল হক প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল জানান, ডহরি খালে বাল্কহেড চলাচলের কারনে খালের দুই পার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই উপজেলায় ইতিপুর্বে নদী ভাঙনে অনেক মানুষ ভুমিহীন হয়েছে। এবং এই বাল্কহেড চলার কারনে ভাঙ্গন সৃস্টি হওয়ায় স্থানীয় মানুষের মাঝে নতুন করে ভুমিহীন হওয়ার আতংক দেখা দিয়েছে।
এছাড়া এই বাল্কহেড এর ধাক্কায় এ খালের কুন্ডের বাজার বেইলি ব্রিজ ও বালিগাঁও বেইলি ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিষয়ে আমরা স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে বাল্কহেড বন্ধের বিষয়ে সিধান্ত হয়েছে। আমরা দেখেতে পেরেছি এই ছোট খাল দিয়ে এই বাল্কহেড চলাচলে উপযোগি না। তাই আমরা খেতেরপাড়া ও ডহরি খালের মুখে বাঁশ দিয়ে বেরিক্যাড করে সরু করা হচ্ছে। যাতে বাল্কহেড চলাচল করতে না পারে। শুধু যাত্রীবাহী ও অনন্য মালবাহী জলযান চলাচল করতে পারে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন