শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

বাংলার দীলিপ কুমার নামে পরিচিত ছিলেন জাভেদ

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

একসময়ের দর্শকপ্রিয় নায়ক ও নৃত্য পরিচালক জাভেদকে এখন আর সিনেমায় দেখা যায় না। উত্তরার বাসায় নীরবে-নিভৃতেই তার সময় কাটে। শারীরিকভাবেও কিছুটা অসুস্থ। জাভেদের জন্ম ১৯৪৪ সালে আফগানিস্থানে। পরে পেশোয়ার হয়ে পাঞ্জাবে আসেন। শৈশবে তার প্রিয় নায়ক ছিলেন দিলীপ কুমার। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি তার ওস্তাদ সাধু মহারাজের কাছে নাচের তালিম নেন। নাচে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য তিনি ভারতেও যান। মূলত নৃত্যশিল্পী হলেও অভিনয়ের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ জন্মায়। স্বাধীনতার আগে তিনি পাকিস্তানের সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। ‘নয়া জিন্দেগী’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। এরপর আরো বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। তবে ১৯৭০ সালের ৩০ জানুয়ারি মুক্তিপ্রাপ্ত উর্দু সিনেমা মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘পায়েল’ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পান। এ সিনেমায় ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, শাবানা। এই সিনেমায় তাকে দেখতে দীলিপ কুমারের মতো লাগে বলে অনেকে মনে করেন। একবার তার সুযোগ হয় বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করার। তখন বঙ্গবন্ধু তাকে ‘বাংলার দীলিপ কুমার’ নামে অভিহিত করেছিলেন। এই বিষয়টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে বেশ ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই জাভেদ’কে ‘বাংলার দীলিপ কুমার’ নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৭০ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত নায়কদের মধ্যে জাভেদ ছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয়। নিজে নাচতেন ও নায়িকাদের নাচিয়ে পর্দা কাঁপিয়ে তুলতেন। শাবানা, ববিতা, অঞ্জু ঘোষ, রোজিনা, সুজাতা, সুচরিতা প্রমুখ ছিলেন তার নায়িকা। ‘নিশান’ সিনেমায় তার দ্বৈত চরিত্রের অভিনয় দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। তিনি ইলিয়াস জাভেদ নামে নৃত্যপরিচালক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার অভিনীত দর্শকপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে মালকা বানু, অনেক দিন আগে, শাহাজাদা, রাজকুমারী চন্দ্রবান, সুলতানা ডাকু, আজো ভুলিনি, কাজল রেখা, সাহেব বিবি গোলাম, নিশান, বিজয়িনী সোনাভান, রূপের রানী চোরের রাজা, তাজ ও তলোয়ার, নরমগরম, তিন বাহাদুর, জালিম, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা, রাজিয়া সুলতানা, সতী কমলা, বাহারাম বাদশা, আলাদিন আলী বাবা সিন্দাবাদ। অভিনয়ের পাশাপাশি এসব সিনেমায় নৃত্য পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। ‘মনের ঐ ছোট্ট ঘরে আগুন লেগেছে হায়রে’, ‘নাচো নাচো গো অঞ্জনা’, ‘চাকভুম চাকভুম চাঁদনী রাতে’, ‘মালকা বানুর দেশেরে বিয়ের বাজনা বাজেরে’, ‘ওরে ও বাঁশিওয়ালা’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গানেরও নৃত্যপরিচালক ছিলেন তিনি। জাভেদ এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন