নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিনোদন পার্ক পাতাকুঁড়ির ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল শাহ্কে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের সহযোগিতা করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পার্ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের দিঘলডাঙ্গী গ্রামের মৃত নেয়ামতুল্যা শাহ'র ছেলে তিনি। আজ শুক্রবার (২৬ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, সৈয়দপুর উপজেলার একটি গ্রামের কলেজ ছাত্রী (১৮) কে। চলতি বছরের গত ১২ফেব্রুয়ারি বান্ধবীদের সঙ্গে পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কে ঘুরতে আসেন। এ সময় সেখানে পরিচয় হয় রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের আজগার আলীর ছেলে শাহিন হোসেনের সঙ্গে। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে শাহিন ওই কলেজ ছাত্রীকে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনোদন পার্ক পাতাকুঁড়িতে ডেকে নেন। সেখানে পার্কের ম্যানেজার ও কেয়ারটেকারের সহযোগিতায় শাহিন তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই অভিযুক্ত শাহিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এস আই) মো. মতিয়ার রহমান জানান, মামলার তদন্তে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের সহায়তাকারী হিসেবে পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কের ম্যানেজার এবং একজন কেয়ারটেকারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতাকারী পার্কের ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল শাহকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়।
(২৬ আগস্ট) শুক্রবার সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন। এ ঘটনায় আরেক সহযোগিতাকারী হিসেবে পার্কের একজন কেয়ারটেকার রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তদন্তে আরো কোন ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন