গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এ সরকার অবৈধ, জুলুমবাজ ও নিষ্ঠুর সরকার। জনগণের সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। এরা আয়না ঘরে মানুষকে বন্দি রেখে নির্যাতন করছে। তাই এই সরকারকে বিদায় করে আয়না ঘর ভাঙতে হবে। জনগণের ভোট ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই সরকারের পতন ছাড়া আমরা আর ঘরে ফিরবো না। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রায় নেতারা এসব কথা বলেন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পদযাত্রা নিয়ে বের হন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। পদযাত্রাটি পুরানা পল্টন, নাইটেঙ্গেল মোড় হয়ে শান্তিনগর গিয়ে শেষ হয়। এসময় জোটের নেতাকর্মীরা সরকারের পদত্যাগসহ দেশের অর্থনীতির দুরাবস্থা তুলে ধরে বিভিন্ন সেøাগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এই সরকার একটি নিষ্ঠুর সরকার। জনগণের সঙ্গে এই সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই অত্যাচারী সরকারকে যারা সাহায্য-সহযোগিতা করছে, তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যেতে দেয়া হবে না। সরকার দলের লোকজন মনে করে আমরা কৃতদাস। আমরা এই সরকার চাই না।
তিনি বলেন, সরকার বলেছিল, গরিবদের ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। কিন্তু এখন সেই চালের কেজি ৬০ টাকা। সরকার আয়না ঘর নির্মাণ করে জনগণকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। এ আয়না ঘর ভাঙতে হবে। যারা জুয়া খেলার ক্যাসিনো তৈরি করেছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের কোর্ট-আদালত কোথায়?
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন যে কথা বলেছেন সেটা আসলে সরকারেরই বক্তব্য। আমরা এ সরকারের পতন ঘটিয়ে ঘরে ফিরবো। সব রাজনৈতিক দল বলছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন হতে পারে না। আর কমিশনার ১৫০ আসনে ইভিএমের কথা বলছেন।সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।
তিনি বলেন, দেশে যারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন সবাই সরকারি দলের লোক। এ সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান অনেক দেন-দরবার করে জাতিসংঘের ভিসা পেয়েছেন। কনফারেন্সের বাইরে তিনি কোথাও যেতে পারবেন না। পুলিশ প্রধান যে হোটেলে আছেন সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নজরদারি রাখা হয়েছে। আজ বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশকে নিম্নমানের পুলিশ বানানো হয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের গুন্ডা-পান্ডারা অন্য দলগুলোর মিছিল মিটিংয়ে হামলা করছে। আওয়ামী লীগের লোকজন যেভাবে কথা বলছে, অন্যদের সেভাবে মিছিল-মিটিং কিছুই করতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনে ইভিএমএ ভোট হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়। অন্তবরর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিপ্লাবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন