অবশেষে মামলা নি®পত্তি হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে শালিক পাখি ব্যবহার নিয়ে বন বিভাগের মামলায় আইনের বেড়াজালে আটকে যাওয়াও সিসনেমার পরিচালক ও খাঁচাবন্দী পাখির দৃশ্য নাটকে রাখায় নাট্য নির্মাতার বিরুদ্ধে করা মামলা সমঝোতার ভিত্তিতে নি®পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দুটি করা হয়েছিল। গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য অফিসার দীপংকর বর। বিবৃতিতে বলা হয়, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অবগত না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক কর্তৃক আপোষ নি®পত্তি করার আবেদনের প্রেক্ষিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বর স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৩ মোতাবেক মামলাটি আপোষযোগ্য হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। আদালত মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের বিষয়টি গ্রহণপূর্বক শুনেছেন এবং পরবর্তী তারিখে রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেছেন। এর আগে হাওয়া সিনেমার পরিচালকের বিরুদ্ধে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা’ এবং প্রদর্শনী বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ দেয়া নিয়ে শিল্পী-নির্মাতাদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার সেন্সর না পাওয়া নিয়েও বিক্ষুদ্ধ শোবিজ অঙ্গন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। গত বৃহ¯পতিবার এ নিয়ে নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীরা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন্দি হয়ে গল্প বলার স্বাধীনতা চেয়ে, ‘বাংলা চলচ্চিত্র বা কনটেন্টে সেন্সরশিপের খড়গ: গল্প বলার স্বাধীনতা চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে সেন্সর বোর্ড বাতিল করাসহ ৫ দফা দাবী তারা তুলে ধরেন। ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবী জানানো হয়। উল্লেখ্য, 'হাওয়া' সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে সিনেমায় একটি পাখি খাঁচায় আটকে রাখার দৃশ্যায়ন করার অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট মামলা করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। মামলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লঙ্ঘন করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন