শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তন

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তন হয়ে গেলো বসুন্ধরা সিটির আনÍর্জাতিক কনভেশনের রাজদর্শন হলে (কুড়িল বিশ্বরোডে)। ওইদিন সকালে সদ্য উত্তীর্ণ হওয়া গ্রাজুয়েটদের পদভারে মূখরিত হয়ে ওঠে কনভেনশন হলের বিশাল প্রাঙ্গন। তাদের পরনে ছিলো সমাবর্তনের কালো গাউন ও ক্যাপ। অনুষ্ঠান শুরু হওয়া কথা সকাল ১০টায়। কিন্তু সকাল ৮টা থেকে তাদের ভিড় জমে। হলের সামনে বিশাল চত্বরে কেউ সেলফি অনেকে গ্রুপ হয়ে ছবি তুলতে থাকেন ভবিত্যবে জীবনকে স্মৃতিময় করে তুলতে। হ্যাঁ, ওইদিন জীবনকে স্মৃতিময় করে তোলার ক্ষেত্র বটে। অধ্যায়ন শেষে সবাইকে তো কর্মময় জীবনে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সাংসারিক জীবন। তখন আর বন্ধুদের সান্নিধ্য নেয়া বা দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ, জীবন তখন ব্যস্ত ও কঠিন হয়ে পড়ে। তখন স্মৃতিই ভরসা ।সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিভাগ অনুযায়ী সারিবদ্ধ ভাবে হলে প্রবেশ করতে থাকে।্ প্রবেশ মুখ তাদের অভ্যর্থনা জানান ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. শহীদুল কাদির পাটোয়ারী ও ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। কানায় কানায় হলটি ভরে য়ায়।
শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান। সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,দেশের উন্নয়নের ধারা দ্রুত গতিতে চলছে আর এই মুহুর্তে একটি গোষ্ঠী দেশকে পিছিয়ে নিতে বেশ কিছু সম্ভবনাময় ও মেধাবী তরুণকে বিপদগামী করছে। ওই সব তরুণ আজ দেশ-সমাজ ও পরিবারের কাছে নিন্দিত ও ধিকৃত।  তিনি ১৮২৫ জন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়তে আপনাদের ভুমিকা বেশি থাকবে। আর আপনাদের মাধ্যমে দেশ একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।   
 স্বাগত বক্তব্যে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. শহীদুল কাদির পাটোয়ারী বলেন ‘জ্ঞানই শক্তি’ আমরা এই আদর্শকে ধারন করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরাফিল আলম এম.পি। তিনি  বলেন, মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তদের জন্য ১৯৯৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাই এখানে টিউশন ফি তুলনামুলক কম। ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কে এম মোহসীন বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী মহান আদর্শ নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার আদর্শকে অনুসরণ করে এসব পরিচালিত হয়ে আসছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, উচ্চ শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি থাকে, তা আমরা পালন করে আসছি। সমাবর্তন আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কোয়ালিটি এসুরেন্স এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান প্রমূখ। সমাবর্তনে ৪জনকে চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড, ৭জনকে ভাইস চ্যান্সলর এ্যাওয়ার্ড ও ৩জনকে ডীন এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। পরিশেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  
ষ তারিন তাসমি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন