দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে রোমান্টিক থ্রিলার ‘অ্যালাইড’ পরিচালনা করেছেন ‘ব্যাক টু দ্য ফিউচার ট্রিলজি’র (১৯৮৫, ১৯৮৯, ১৯৯০) জন্য খ্যাত রবার্ট জেমেকিস। ‘ফ্লাইট’ (২০১২), ‘ডিজনি’স আ ক্রিসমাস ক্যারল’ (২০০৯), ‘বিউল্ফ’ (২০০৭), ‘দ্য পোলার এক্সপ্রেস’ (২০০৪), ‘কাস্ট অ্যাওয়ে’ (২০০০), ‘হোয়াট লাইজ বিনিথ’ (২০০০), ‘ফরেস্ট গাম্প’ (১৯৯৪) এবং ‘হু ফ্রেইমড রজার র্যাবিট’ (১৯৮৮) জেমেকিস পরিচালিত অন্যান্য চলচ্চিত্র।
১৯৪২ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। ফরাসী-কানাডীয় ইন্টেলিজেন্স অফিসার ম্যাক্স ভেটানের (ব্র্যাড পিট) ওপর দায়িত্ব পড়ে এক উচ্চপদস্থ নাৎসি কর্মকর্তাকে হত্যা করার। তার এই মিশনের কর্মস্থল মরক্কোর ক্যাসাবøাঙ্কা। তার সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় সাবেক ফ্রেঞ্চ রেজিস্ট্যান্স সদস্য মেরিয়েনকে (মারিয়ঁ কতিয়া)। মেরিয়েনের রেজিস্ট্যান্স দলের পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তাদের সবাইকে হত্যা করে নাৎসি বাহিনী, পালিয়ে বাঁচে সে। ক্যাসাবøাঙ্কাতে তারা দম্পতির ছদ্মবেশ নেয় এবং তাদের মিশন সফল হয়। এর মধ্যে তারা পরস্পরের প্রেমে পড়ে যায়। ম্যাক্স মেরিয়েনকে তার সঙ্গে লন্ডন আসতে বলে যাতে তারা সেখানে সংসার করতে পারে। মেরিয়েনও তার কথা মত লন্ডন চলে আসে। এক বছর পর যখন তারা যখন এক সন্তানের বাবা-মা সে সময় ম্যাক্সকে তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ডেকে পাঠায়। তাকে জানান হয় মেরিয়েন সম্ভবত একজন নাৎসি গুপ্তচর। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই তথ্যের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে। যদি তাই হয় নিজের হাতে মেরিয়েনকে তার হত্যা করতে হবে। অথবা তাকেই মৃত্যুদন্ড বরণ করতে হবে। ম্যাক্স কি এই অভিযোগ অসার প্রমাণ করতে পারবে? সবাই যেমন জানে তার পরিচয়ও কি তাই?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন