শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

তিন অভিভাবক হারিয়ে একা হয়ে গিয়েছি-সূচরিতা

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

চলচ্চিত্রে যাদের হাত ধরে সুচরিতা চিত্রনায়িকা হয়েছিলেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, সেই তিনজন এখন আর নেই। তিনজনই মৃত্যুবরণ করেছেন। এই তিনজন হলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, দীলিপ বিশ্বাস ও আজিজুর রহমান। দীলিপ বিশ^াস ও আজিজুর রহমান আগে মারা গেছেন। তার অভিভাবক হিসেবে বেঁচে ছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনিও ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে সুচরিতা এখন একা হয়ে গেছেন বলে মনে করছেন। রাজধানীর বারিধারার পার্ক রোডেই পাশাপাশি দু’জনের বসবাস। গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে নিজের পিতার মতো শ্রদ্ধা করতেন তিনি। ছোটবেলা থেকে মামা বলে সম্বোধন করতেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ারও তাকে বড় মেয়ের মতো স্নেহ করতেন। তার চোখের সামনে শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হয়েছেন তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিচালনায় সুচরিতা নায়িকা হিসেবে ‘নান্টু ঘটক’,‘সন্ধি ও ‘আর্তনাদ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সূচরিতা বলেন, ‘আমার পরম সৌভাগ্য যে, ছোটবেলা থেকে গাজী মামা, আজিজ মামা, দীলিপ কাকুর মতো গুনীজনের সাহচার্য্য পেয়েছি। তারাই আমাকে মানুষের মতো মানুষ করেছেন। আজিজ মামা’তো আমাকে ছোটবেলায় নিজের হাতে কাপড় পড়িয়েছেন। তাদের চোখের সামনে আমি নায়িকা হয়েছি। আমি তাদের স্নেহধন্য ছিলাম। তাদের স্নেহ, ভালোবাসায় দিক নির্দেশনায় নিজেকে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। এদেশের কোটি কোটি দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি। যাদের কারণে এত ভালোবাসা পেয়েছি, তারাই আজ নেই। আমি একা হয়ে গেলাম। এই একাকীত্ব আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। উল্লেখ্য, মুস্তাফিজের ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন সুচরিতা। তখন তার নাম ছিলো হেলেন। ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন ‘নিমাই সন্নাসী’,‘ অবাঞ্চিত’, ‘রং বেরং’, ‘টাকা আনা পাই’, কতো যে মিনতি’,‘রাজ মুকুট’,‘বাবলু’সহ আরো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে। নায়িকা হিসেবে আজিজুর রহমানের পরিচালনায় ‘স্বীকৃতি’, দীলিপ বিশ্বাসের ‘সমাধি’ এবং অশোক ঘোষের ‘মাস্তান’ চলচ্চিত্রে পরপর অভিনয় করেন। এরপর অসংখ্য সিনেমায় তিনি নায়িকা হয়ে অভিনয় করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন