যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে চিত্রনায়ক শাকিব খান সিলেট-সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষকে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এজন্য একটি আর্থিক সহায়তার জন্য একটি ই-মেইলও খুলেছিলেন। শাকিব বন্যাকবলিত এলাকার একটা ছবি শেয়ার করে গত ১৮ জুন দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছিলেন, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও সংবাদমাধ্যম ও শুভাকাক্সক্ষীদের কাছ থেকে জেনেছি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বন্যা কবলিত মানুষের দুর্দশা আমাকে ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া মানুষের পাশে আছি। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমার সামর্থ্যের মধ্যে অর্থ সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি। সেই সঙ্গে একটি তহবিল গঠনেরও কথা ভেবেছি; যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে যাবে কষ্টে থাকা সেই সব বানভাসি মানুষের সাময়িক সংকট মোকাবিলায়। বন্যা কবলিতদের যেকোনো ধরনের সহায়তা দিয়ে যারা পাশে থাকতে চান, ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারবেন। সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে শাকিব আরও লিখেছিলেন, বাংলাদেশ ও প্রবাসে থাকা আগ্রহী বিত্তবানদের কাছে আহ্বান, আপনারাও নিজেদের সামর্থ্যের মধ্য থেকে বানভাসি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোক। শাকিব খানের ফেসবুক পেজে এই কথাগুলো আজও আছে। তবে শাকিবের এ ঘোষণা ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। জানা যায়, বানভাসি মানুষরা আজও শাকিবের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পায়নি। শাকিব দেশে ফিরে বা নিউইয়র্কে বসে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ দিয়েছেন এমন খবরও পাওয়া যায়নি। সে সময় শাকিব নিজে ত্রাণ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে অন্যদের খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, অধিকাংশ মানুষই মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য দানবীর হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, তিনি নিজেই তার ঘোষিত ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেননি। এ নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গণের অনেকে তাকে টিপ্পনি কেটে বলছেন, তার কাছে যারা ত্রাণ সহযোগিতা পাঠিয়েছে, সেগুলো কি তিনি নিজেই রেখে দিয়েছেন! অবশ্য তার এমন ‘স্ট্যান্টবাজি’ নতুন কিছু নয়। আরও অনেক বিষয়ে তিনি এমন ঘোষণা ও বড় বড় কথা বললেও বাস্তবায়িত করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন