টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করায় বিভিন্ন ইসলামী দলের মাঝে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল নিয়োগ করে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করা হয়েছে। মাদরাসার প্রিন্সিপাল গতানুতিক কোনো পদ পদবী নয়। মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদবীর সাথে আন্তরিক বোধ ও বিশ্বাস তথা ঈমান জড়িত। আরবী ভাষা জ্ঞান, কোরআন-সুন্নাহর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। সেই সাথে কোরআন ও হাদীসের উপর পরিপূর্ণ আমল। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদে নিযুক্ত করে ইসলামী শিক্ষা তথা কোরআন-সুন্নাহর সাথে চরম বেয়াদবি করা হয়েছে। অবিলম্বে হিন্দা ধর্মাবলম্বীর নিয়োগ বাতিল এবং এ ঘটানার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই : টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল নিয়োগ করে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করা হয়েছে। মাদরাসার প্রিন্সিপাল গতানুতিক কোন পদ পদবী নয়। মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদবীর সাথে আন্তরিক বোধ ও বিশ্বাস তথা ঈমান জড়িত। আরবী ভাষা জ্ঞান, কোরআন-সুন্নাহর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। সেইসাথে কোরআন ও হাদীসের উপর পরিপূর্ণ আমল। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদে নিযুক্ত করে ইসলামী শিক্ষা তথা কোরআন-সুন্নাহর সাথে চরম বেয়াদবি করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র ও অন্যতম শ্রদ্ধাস্থল। এ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের প্রকৃত নায়েবে রাসূল (সা.) ও ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন করে গড়ে তুলে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখা। যুগযুগ ধরে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদরাসা শিক্ষা ধারার ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন হলেও এ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান ও নীতি নির্ধারনী পরিষদে সর্বদাই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অগ্রাধিকারের বিষয়টি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতদসত্তে¡ও টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মের বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব প্রদানের ঘটনায় গোটা মুসলিম সমাজ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
পীর সাহেব বলেন, মাদরাসার শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রাখার নিমিত্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে নীতিমালা ও অন্যান্য নথিপত্র সংশোধনপূর্বক স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সাথে সাথে তিনি বিষয়টি তদারকি করে মাদরাসা শিক্ষার সাথে বেয়াদবির কারণে সংশ্লিষ্টদের বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। ভবিষ্যতে মাদরাসা প্রিন্সিপাল ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগ ও ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের পূর্বে যাতে মাদরাসার স্বকীয়তা অক্ষুণœ থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকিব অ্যাডভোকেট ও মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম খান এক বিবৃতিতে টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মালম্বী অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিয়োগ করে দেশের কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে চরম আঘাত হানা হয়েছে। দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসায় হিন্দু অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাহা এই দেশের ঈমানদার মুসলমানরা মেনে নিতে পারে না। নেতৃবৃন্দ অনিতিবিলম্বে টাঙ্গাইল দারুল উলুম মাদরাসায় একজন মুসলমান প্রিন্সিপাল নিয়োগ প্রদান এবং এ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি : বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা ও মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালেক নূরী একযুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষককে আলীয়া মাদরাসার প্রিন্সপাল নিয়োগ করার খবরে দেশের কোটি কোটি মুসলমানের অন্তরে আঘাত লেগেছে। মাদরাসার প্রিন্সিপাল নিয়োগের খবরে সরকারের ভাব মর্যাদা কতটুকু ক্ষুণœ হয়েছে তা হয়তো তারা টের পাননি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রশ্ন এ দেশে মুসলিম শিক্ষকের কী অভাব রয়েছে? কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা বিবেকবর্জিত কাজ করে সরকারের ক্ষতি করে। জনপ্রিয়তা তলানিতে নিয়ে যায়। এটাকে সাধারণ বিষয় হিসেবে গণ্য করলে নামাজ-কালাম করে এরুপ আওয়ামী লীগরাও তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হবে। মুসলমানের দেশে যেটা চলে না সেটা জোর করে চালালে হিতে বিপরীত হবে। তাই অবিলম্বে ইসলামবিদ্বেষী এ সিদ্ধান্ত বাতিল করুন এবং ভবিষ্যতে কখনও এ ধরনের হটকারিতা থেকে বিরত থাকুন।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর : টাঙ্গাইলের মাদরাসায় হিন্দু ধর্মের বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব প্রদান করে দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। মুসলমানদের সন্তানরা ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধ গ্রহণ করবে মাদরাসা থেকে। সে মাদরাসার প্রধান যদি একজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয় তাহলে সেটা তামাশা ছাড়া আর কিছুই হবে না। দেশে এতই আকাল পড়ে গেল যে একটা মাদরাসার প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেয়ার জন্য একজন আলেম পাওয়া যাচ্ছে না! এটা অবিশ্বাস্য। যা করা হয়েছে এটা দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকেও ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা ইসলাম ধর্মের সাথে প্রহসন করার শামিল। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হল যদি ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ্য কোন আলেম পাওয়া না যায় তাহলে অস্থায়ীভাবে অন্য কোন আলেমকে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল করতে হবে। মাদরাসায় অন্তত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর কাউকে এ পদে বরদাশত করা হবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সীরাত সম্মেলন’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে থানা দায়িত্বশীলদের সাথে নগর উত্তরের যৌথ প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংহতি মঞ্চ : জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা একে এম আশরাফুল হক এক বিবৃতিতে আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদে একজন হিন্দু লোককে নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, মাদরাসা একটি স্বতন্ত্র ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা। সুতরাং এখানে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের নিয়োগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ঈমানী চেতনায় চরম আঘাত করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিনি অবিলম্বে এই নিয়োগ বাতিল করে একজন যোগ্য আলেমকে প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা যুগযুগ ধরে কোরআন, হাদীস, ফিকহ ও আধুনিক বিষয়াদি শিক্ষা দিয়ে আসছে। নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে ভ‚মিকা রাখছে মাদরাসাগুলো। কিন্তু দুর্ভাগ্য বিষয় হলো টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করা। এটা কোনোভাবে মেনে যায় না। বিষয়টির সমাধান ও মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রাখার স্বার্থে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে নীতিমালা ও অন্যান্য নথিপত্র সংশোধনপূর্বক স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহŸান জানান। মাওলানা জালালুদ্দীন মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতিসহ পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যকে অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল পদে হিন্দু অধ্যাপকের নিয়োগ বাতিল করে প্রকৃত আলেমকে দায়িত্ব দেয়ার আহŸান জানান।
সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট : মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেয়ায় সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু জাফর কাসেমী ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে বলেন,একটি মুসলিম প্রধান দেশে মাদরাসার প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করবেন একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী এটা ঈমানদার মুসলমানরা মেনে নিতে পারে না। এটা এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার হীন চক্রান্ত বলেই আমরা মনে করি।
নেতৃদ্বয় চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে নিযুক্ত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা ছরওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার।
এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মাদরাসা একটা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইসলাম ধর্মের তাহজিব তামাদ্দুন ও কোরআন হাদিস ফিকাহ তথা ইসলাম ধর্মীয় নানাবিধ চর্চার কেন্দ্র। এখানে একজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেয়া জাতির সাথে রসিকতা ছাড়া কিছুই নয়।
এ ধরনের অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানিয়ে নেতৃদ্বয় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে আরও সতর্ক থাকার আহŸান জানান।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ : কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সংগঠনের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফী, মহাসচিব সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, নির্বাহী মহাসচিব ভাইস প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম মুহাম্মদ ফজলুল হক একযুক্ত বিবৃতিতে বলেন, কোরআন-হাদীসের আলোকে জীবন গঠনের অন্যতম আশ্রয়স্থল মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। আদর্শিক দৈনন্দিন জীবন-যাপনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ ভ‚মিকা রেখে যাচ্ছে। প্রকৃত নায়েবে রাসূল (সা.) ও ইসলামি মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশ জাতির উন্নয়নে বিশেষ ভ‚মিকা রেখে যাচ্ছে মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। হঠাৎ করে যুগ যুগ ধরে চলে আসা নীতিব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে একজন ভিন্ন মতালম্বীকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করা একেবারে বেমানান। মাদরাসায় হিন্দু ধর্মের বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব প্রদান করা বাংলাদেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সুন্দর পরিবশেকে ঘোলাটে করার গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ কালবিলম্ব না করে অতিসত্বর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে একজন যোগ্য আলেমকে দায়িত্ব প্রদানের আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন