বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে বসতঘর মেরামত করতে গিয়ে তিনজন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন। আরো একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন রায়ভোগ কদমতলা গ্রামের জলিল মিয়ার পুত্র রবিউল ইসলাম (১৬), কদমতলা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে হেলাল (৩০) ও একই গ্রামের মৃত্যু শাহজাহানের পুত্র বেলায়েত (২৫)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন নিজামুদ্দিনের ছেলে আরিফ (২৫)।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফরিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, নিহত হেলাল আট বছর প্রবাসজীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে নিজেদের পুরাতন বসতঘর মেরামতের জন্য কাজ শুরু করেন। কাজের সহযোগিতার জন্যে মামাতো ভাই বেলায়েতসহ আরো দুজনকে সাথে নেন। একপর্যায়ে বিকেল আড়াটার দিকে ঘরের বৈদ্যুতিক লাইনের তার ছিড়ে ঘরের টিনের চালে পরলে চারজন একসাথে বিদ্যুৎপৃস্ট হন। পরবর্তিতে তাদেরকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষনা করে একজনকে নিবিঢ় পর্যবেক্ষণে রাখেন।
এ বিষয়ে ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল হক স্বপন বলেন, দুর্ঘটনার খবর শোনার সাথে সাথে আমি ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। চারজনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত ডাক্তার তিনজনকে মৃত ঘোষনা করেন।
একই এলাকায় একই মুহূর্তে তিনজনার এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পল্লীবিদ্যুৎ বরগুনা জোনাল অফিসের ডিজিএম আরব আলী শেখ জানান, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অন্তর্গত, বরগুনা জোনাল অফিসের আওতায় রায় ভোগ অভিযোগ কেন্দ্রের অধীনে কদমতলী গ্রামে বিলাত হোসেন (৩৯৫/২৫০০) নামে এক গ্রাহক অফিসকে অবহিত না করে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে নিজেরা নিজেরা ঘর মেরামত করতে গেলে মেরামত কাজে নিয়োজিত চারজন মিস্ত্রির মধ্যে একজনের হাত থেকে টিন নিচে পড়ে গেলে মিটারটি ভেঙে যায় মিটার ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে টিন বিদ্যুতায়ীত হয়ে পড়ে ,ফলে সাথে সাথে চার জনের মধ্যে তিন জনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন